^ తి: উনবিংশ পরিচ্ছেদ দ্বাদশী। পূর্ণিমার দিন তোমার বাড়িতে গ্রামশুদ্ধ লোকের নিমন্ত্রণ করেচি। তখন দাদা ছিলেন, কাজকৰ্ম্ম সবই তিনি করতেন । আমি কখন কিছু করতে পাই নি, তাই মনে করেছি, বিগুর আবার নূতন’ক’রে অন্নপ্রাশন দেব। - - চন্দ্রনাথ চিন্তা করিল—কিন্তু সমাজ । মণিশঙ্কর হাসিলেন, বলিলেন, সমাজ আমি, সমাজ ভূমি। এ গ্রামে আর কেউ নেই ; ষার অর্থ আছে, সেই সমাজপতি । আমি ইচ্ছা করলে তোমার জাত মায়ুতে পারি, আর তুমি ইচ্ছা করলে আমার জাত মারতে পার । সমাজের জন্তে ভেব না । আর একটা কথা বলি, এতদিন তা বলি নি, বোধ হয় কখন বলতাম না, কিন্তু ভাবচি, তোমার কাছে এ কথা প্রকাশ কয়ূলে কোন ক্ষতি হবে না । তোমার রাখাল ভট্টচাষের কথা মনে হয় ? হয় । হরিদয়াল ঠাকুরের পত্রে পড়েছিলাম। ty আমার পরিবারের যদি কিছু লজ্জার কথা থাকে, শুধু সেই, গুমা করতে পায়ূত, কিন্তু সে আর কোন কথা প্রকাশ করবে না, আমি তাকে জেলে দিয়েছি। কিছুদিন হ’ল সে খালাস হয়ে কোথায় চলে গেছে, আর কখন এ দেশে পা বাড়াবে না । মণিশঙ্কর তখন আম্পূৰ্ব্বক সমস্ত কথা বিবৃত করিলেন। সে সকল কাহিনী গুনিয়া চন্দ্রনাথের চক্ষু বাষ্পাকুল হইয়া उँछैन् । ভাষার পর পূর্ণিমার দিন খাওয়ানাে দাওরানো শেষ হইল। গ্রামের কেহই কৈান কথা কছিল না। তাহারা মণিশঙ্করের ব্যবহার
পাতা:চন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।