க் চন্দ্রনাথ >8 পুড়িয়া মরে। শুধু একটি স্থান সরযু একেবারে নিজের জন্ম রাখিয়াছিল, এখানে হরকালী কিছুতেই প্রবেশ করিতে পায় না । স্বামীর চতুষ্পার্শ্বে সে এমনি একটি স্বল্প দাগ টানিয়া রাখিয়াছে ষে, তাহার ভিতরে প্রবেশ না করিতে পারিলে আর চন্দ্রনাথের শরীরে আঁচড়টিও কাটিতে পারে না। এই দাগের বাহিরে হরকালী যাহা ইচ্ছা করুক, কিন্তু ভিতরে আসিবার অধিকার ছিল না। বুদ্ধিমতী হরকালী বেশ বুঝিতে পারে যে এই এক ফোটা মেয়েটি কোন এক মায়া-মন্ত্রে তাছার সমস্ত বিষ হরণ করিয়া লইয়াছে । এমনি করিয়া দীর্ঘ ছয় বৎসর গত হইল । সে এগারো বছর বয়সে স্বামীর ঘর করিতে আসিয়াছিল সতেরোয় পড়িল । পঞ্চম পরিভেচ্ছদ বয়সের সন্মান-জ্ঞানটা যেমন পুরুষের মধ্যে আছে, স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে তেমন নাই । পুরুষের মধ্যে অনেকগুলি পৰ্য্যায় আছে—যেমন দশ, কুড়ি, ত্রিশ, চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাট প্রভৃতি। ত্রিশ বছরের একজন যুবা কুড়ি বছরের একজন যুবার প্রতি মুরুবিয়ান চোখে চাহিয়া দেখিতে পারে, কিন্তু মেয়েমহলে এটা থাটে না। তাহারা বিবাহ-কালটা পৰ্য্যন্ত বড় ভগিনী, ভ্রাতৃজায়, জননী, পিসিম, অথবা ঠাকুরমার নিকট অল্পস্বল্প উমেদানী, করে, নারী-জীবনে যাহা কিছু-অর-বিস্তর শিখিবার আছে, শিখিয়া ঘর ; ভাঙ্গর পরই একেবারে প্রথম শ্রেণীতে कक्लिङ्ग
পাতা:চন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।