$ (t পঞ্চম পরিচ্ছেদ বসে। তখন ষোল হইতে ছাপায় পৰ্যন্ত তাহারা সমবয়সী। স্থানভেদে হয় ত বা কোথাও এ নিয়মের সামান্ত ব্যতিক্রম দেখা যায়, কিন্তু অধিকাংশ স্থলেই এমনি । অন্ততঃ চন্দ্রনাথের গ্রাম সম্পৰ্কীয়া ঠানূদিদি হরিবালার জীবনে এমনটি দেখিতে পাওয়া গিয়াছিল। সেদিন অপরাহ্লে পশ্চিমদিকের জানালা খুলিয়া দিয়া সর আকাশের দিকে চাহিয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়াছিল। হরিবল একথাল মিষ্টায় একগাছি মোট যুঁইয়ের মালা হাতে লইয়া একেবারে সরযুর নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল। মালাগাছটি তাহাকে পরাইয়া দিয়া বলিল, আজ থেকে তুমি আমার সই হ’লে। বল দেখি, সই— সরযু একটু বিপন্ন হইল। তথাপি অল্প হাসিয়া কলি, বেশ । বেশ ত নর দিদি, সই ব’লে ডাকতে হবে। - - - ইহাকে আদরই বল, আর আবদারই বল, সরযুর জীবনে ঠিক এমনটি ইতিপূৰ্ব্বে ঘটয় উঠে নাই, তাই এই আকস্মিক আত্মীয়তাটাকে সে মনের মধ্যে মিলাইয়া লইতে পারিল না। একদণ্ডে একজন দিদিমার বয়সী লোকের গলা ধরিয়া সেই বলিয়া আহবান করিতে তাহার লজ্জা করিতে লাগিল, কিন্তু হরিবালা থে ছাড়ে না। ইহাতে অভিবনত্ব কিংবা অস্বাভাবিকতা যে কিছু থাকিতে পারে, হরিবালার তাহ ধারণা নাই। তাই সরবুর মুখ ইত্ত্বে এই थिग्न সম্বোধনটির বিলম্ব দেখিয়া একটু গম্ভীরভাবে, একটু মাম হুইয়া মে কহিল, তবে আমার মালা ফিরিয়ে দাও, আমি আর কোথাও যাই।
পাতা:চন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।