চন্দ্রনাথ ૭૭ যেদিন কমলাচরণ আমার মুখের পানেই চোখ রেখে চোখ বুজলে, সেদিন থেকেই শঙ্কা, ভয় প্রভৃতি উপত্রধগুলো তাদের পিছনে পিছনেই চলে গেল, কেমন করে যে গেল, সে কথা এক দিনের তরে জানতে পারলাম না বাবাজী, বলিতে বলিতে বৃদ্ধের চোখ ছুটি ছল ছল করিয়া আসিল। দয়াল বাধা দিয়া বলিলেন, খাৰু সে-সব কথা। এখন আমার কথাটা শুনবে ? : . বল বাবাজী। -- - দয়াল তখন সেদিনের কাহিনী একে একে বিবৃত করি বলিলেন, এখন উপায় ? * শুনিতে শুনিতে কৈলাসের সদাপ্রফুল্ল মুখঐ পাংশুবর্ণ হইল। কাতর-কণ্ঠে তিনি বলিলেন, এমন হয় না হরিয়াল। স্বলোচনা সতী-সাবিত্রী ছিলেন। - দয়াল কছিলেন, আমিও তাই ভেবেছিলাম, কিন্তু স্ত্রীলোকে সকলই সম্ভব। ছি, অমন কথা মুখে এনে না। মুহূৰ যাত্রই পাপ প্রশ্ন করে থাকে,এতে স্ত্রী-পুরুষের কোন প্রভেদ দেখি নে। বাবাজী, তোমার - জননীর কথা কি স্মরণ হয় না, সে স্থতি একেবারে মুছে ফেলেচ? হরিয়াল লজ্জিত হইলেন, অথচ বিরক্তও হইলেন। কিছুক্ষ অধোমুখে থাকিয়া তিনি বলিলেন, কিন্তু এখন যে জাত স্থায় । কৈলাস বললেন, একটা প্রায়শ্চিত্ত কর। অম্বারাশীপ শান্ধিক্টেৰি। .** • . .
পাতা:চন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।