ছক্লিয়েলি সমস্ত কণা পরিষ্কার করিয়া মশিশঙ্করকে লিখিয়া দিয়াছিলেন। সেই জন্যই তাহার সহজেই বিশ্বাস হইল সখাদটী অসত্য নহে। কিন্তু বুঝিতে পারিলেন না এলে কর্তব্য কি! এ সম্বাদ তাছার পক্ষে মুখেরই হোক বা দুঃখেরই হোক, গুরুতর তাহাতে সন্দেহ নাই। এত ভার তাহার এক বহিতে ক্লেশ বোধ হইল, তাই স্ত্রীকে নিরিবিলিতে পাইয়া মোটামুটি খবরটা জানাইয়া বলিলেন, আমার পরামর্শ নিলে কি এমন হ’ত ? না এত বড় জুয়াচুরি ঘটুতে দিতাম ? যাই হোক কথাটা এখন প্রকাশ করে না, ভাল করে ভেবে দেখা উচিত। কিন্তু ভাল করিয়া ভাবিতে সময় লাগে, দুই-চাৰি দিন অপেক্ষা করিতে হয়, স্ত্রীলোক এতটা পারে না, তাই হরিদয়ালের পত্রের মর্যার্থ দুই-চারিকান করিয়া ক্রমশঃ সংখ্যার বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । মেরে দেখার দিন হৰিলা শুনিতে পাইয়াছিলেন, তাই ভয়ে ভয়ে লেনি জানিতে জাসিয়াছিলেন, চন্দ্রনাথ সরযুকে কতখানি ভালবাসেন। সেদিন মেয়ে-মহলে অন্মুট-কলঙ্কণ্ঠে এ প্রশ্নটা খুব উৎসাহের সহিত জালোচিত হইয়াছিল, কেন না তাহারাই প্রথমে বুধিয়াছিল যে জু ভালবাসার গভীরতার উপরেই সরযুর ভবিষ্ঠৎ নিহিত আছে। সকলেই চাপা গলায় কথা বহে, সকলের মুখে চোখে প্রকাশ পায় যে, একটা পৈশাচিক আনন্দ প্রবাহ এই কোমল বক্ষগুধিয় মধ্যে চুটিয়া ফিরিতেছে। দুঃখপ্রকাশ এবং দীর্ঘশ্বাস ত আছেই, কিন্তু সকলেরই ৰেন গোপন ইচ্ছ স্বযুর ভাগ্যদেৰত যে দিকে মুখ্য
পাতা:চন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।