कथनॉर्ष ৭২ নির্জন কক্ষে এই নিরাশার কাল ছায়াই প্রতিদিন বন হইতে ঘনতর হইতে লাগিল, এবং ভtহারই মাঝখানে বসিয়া চন্দ্রনাথ অলস-নিমীলিত চোখে দিন কার্টাইতে লাগিল। হরকালী বলেন, এই অগ্রহায়ণ মাসেই চন্দ্রনাথের আবারবিবাহ হইবে। চন্দ্রনাথ চুপ করিয়া থাকে। এই চুপ করিয়া থাকা লক্ষ্মাষ্ঠ বা অসম্মতির লক্ষণ, তাহ নির্ণয় করিতে স্বামীর সঙ্গে স্থার তর্কবিতর্ক হয়। মণিশঙ্করবাবুকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন, চন্দ্রনাথকে জিজ্ঞাসা না করিয়া কিছু বলা যায় না। এবার কাৰ্ত্তিকমাসে দুর্গা-পূজা। মণিশঙ্করের ঠাকুর-দালান হইতে সানাইয়ের গান গ্ৰাতঃকাল হইতেই গ্রামবাসীদের কানে কানে আগামী আনদের বার্তা ঘোষণা করিতেছে। চন্দ্রনাথের সুম ভাঙ্গিয়াছিল। নিমীলিত-চক্ষে বিছানায় পড়িয়া শুনিতেছিল, একে একে কত কি স্বর বাজিয়া যাইতেছে। কিন্তু তাহার একটা মুরও তাছার কাছে আনন্দের ভাষা বহিয়া আনিল না ; বরঞ্চ ধীরে ধীরে হৃদয়-আকাশ গাঢ় কাল মেঘে ছাইয়া যাইতে লাগিল। জাজ হঠাৎ তাহার মনে হইল এখানে আর ত থাকা যায় না ; একজন ভৃত্যকে ডাকিয় কলি, আমার জিনিষপত্র গুছিয়ে নে, রাত্রের গাড়ীতে এলাহাবাদ যাব। । এ কথা হরকালী শুনিতে পাইয়া ছুটির আসিলেন, ব্রজকিশোর ; আসিয়া বুঝাইতে লাগিলেন, এমন কি মণিশর নিজে আসিয়াও রোধ করিলেন যে,জাজ ধীর দিনে কোথাওগি কাজ নাই। চজনাখ কাহারও কথা শুনিল না।
পাতা:চন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।