চন্দ্রনাথ , , १७ হরকালী এ কথা গুনিয়া চকু কপালে তুলিয়া বলিলেন, সে পাগল হয়েচে। সরকারকে তলপ করিয়া অন্তরাল হইতে জোর করিয়া হাসিলেন। হাসির ছটা ও ঘটা বৃদ্ধ সরকার শুনিতেও পাইল, বুঝিতেও পাৰিল। হরকালী কছিলেন, সরকারমশায়, কত টাকা পাঠাতে বলেচে ? - প্রতিমাসে পাঁচশ টাকা। ভিতর হইতে পুনৰ্ব্বার বিক্রপের হাসি গুনিয়া সরকার ব্যস্ত হইয়া পড়িল। হরকালী অনেক হাসিয়া পরিশেষে গভীর হইলেন। ভিতর হইতে বলিলেন, আহ, বাছার রাগ হ’লে আর জ্ঞান থাকে না। সে পোড়া-কপালীয় যেমন অদৃষ্ট ! আমি পাচ টাকা করে দিতে বলেচি, তাই রেগে উঠেচে। বলে পাঁচ শ টাকা করে বুঝলে সরকারমশাই, চন্দ্রনাথের ইচ্ছা নয় যে, এক পয়সাও দেওয়া হয়। , , কথাটা কিন্তু সরকার মহাশয় প্রথমে তেমন বুলি না। কিন্তু মনে মনে যত হিসাব করিল, তত বোধ হইতে লাগিল, হরকালীর কথাটাই সত্য। বাছাকে বাড়ি হইতে বাহির করা হইয়াছে, তাছাকে কি কেহ ইচ্ছাপূর্বক অত টাকা দেয় । ভাবিয়া চিন্তিয় সে বলিল, তা আপনি বা বলেন। বলব আর কি ! এই সামান্ত কথাটা আর বুঝলেন না 7 , - সরকার মহাশয় অপ্রতিম্ভ হইয়া বলিল, তাই হবে। . ই ভাই। আপনি কিন্তু পাঁচ টাকা হিসারে পাঠানে। চন্দ্র লা দেয়, জামার হিসাব থেকে পাচ টাকা পাঠাবেন। :
পাতা:চন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।