এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
চতুর্দশ পরিচ্ছেদ شیمی কৈলাসচন্দ্র বিশ্বেশ্বরকে সবলে বক্ষে চাপিয়া হাছা রবে কারি উঠিলেন। অন্তরের অন্তর কঁপিয়া কঁাপিয়া কাদিয়া উঠিল, “আয়, আর, আয়! সভায় কেহই বৃদ্ধের এ ক্ৰন্দন অস্বাভাবিক মনে করিল না। কারণ বয়সের সহিত সকলেরই কেহ না কেহ হীরাইয়া গিয়াছে, সকলেরই হৃদয় কাদিয়া ডাকিতেছে, ‘ফিরে জায়, ফিরে আয়, ফিরে আয় ! - কৈলাসচন্দ্র চক্ষু মুছিয়া বিশ্বেশ্বরকে ক্রোড়ে তুলিয়া বলিলেন, চল দাদা, বাড়ি যাই, রাত্তির হয়েচে । - - বিশু কোলে উঠিয়া বাড়ি চলিল। অনেকক্ষণ একস্থানে বসিয় । থাকিয় তাহার ঘুম পাইয়াছিল, পথিমধ্যে ঘুমাইয়া পখিল। বাড়ি গিয়া কৈলাসচন্দ্র সরযুর নিকট তাহাকে নামাইয়া-দিয়া ৰশিলেন, নে মা, তোর জিনিস তোর কাছে থাক । সরষু দেখিল, বুড়োর চক্ষু ছুটি আজ বড় ভারী হইয়াছে।