পাতা:চন্দ্রাবতী নাটক.pdf/৪১

\$ - চন্দ্রাবতী নাটক । এভিনিয়তই উদ্দীপন করছে। এই সকল দেখে ভালেম যে, যেখানে মূৰ্ত্তিমতী শান্তিদেবীর এতাদৃশ প্রভুত্ব, সেখানে রতীর সহস্ৰ চেষ্টাও বিফল হবে । রাজা । তবে তার উপায় কি করলে ? সুব ! মহারাজ, সে সময়ে স্থানের গুণেই বলতে হবে আমাদের দেবীর ভাবও স্বতন্ত্র হয়ে উঠলে । রাজ ! সে কি রূপ ? সুবা । যে রমণীর নিবিড় নয়ন-কোণে সৌদামিনী সদৃশ কটাক্ষ-রাশির চিরবাসস্থান নিরূপিত হয়েছিল, তারা যেন আশ্রমে গিয়ে নির্বাসিক্ত হল, সে বিশাল*নয়ন ছুটী শান্তি স্নিগ্ধ ও সরলভাবে পরিপূর্ণ হল । অনঙ্গবতী, ষে অলিক অকারণ সস্তৃত হাস্য, কুঞ্চিত অধর ওষ্ঠের মধ্যে এত কর্যে অভ্যাস করেছিলেন ত একেবারে অদৃশ্য হল, অধর ওষ্ঠ পবিত্র সরলতায় ভাসতে লাগলো, আর মধুমাখা হাসিখান যেন চাদমুখে লুকিয়ে রইলো। চলনের ভঙ্গি, অঙ্গের অনর্থক বঙ্কিম ভাব, অলিক আলস্য মোচন, একেবারে অন্তরিত হল,অনঙ্গবতী যেন শান্তভাবে পরিপূর্ণ হলেন। মহারাজ, অকস্মাৎ এই রূপ ভাবান্তর দৃন্টে আমি আবার এটাও মনে করলেম যে বিধাত বুঝি অনুকূল হয়ে সেই যোগীর যোগভঙ্গের জন্যেই ব৷ এই মোহিনীকে ষোগিনী ভাবে ভূষিত করলেন। রাজা। তার সন্দেহ কি ! অহুকুল বিধাতারই এই কাজ। সুব । তার পর, অনঙ্গবতী ভ্রমণে পরিশ্রান্ত হয়ে আশ্রমের সরোবরের ঘাটে উপবেশন করলেন । শ্রম-জনিত স্বেদবিন্দু বদন-শশধরে সুধাবিষ্ণুর ন্যায় সুশোভিত হতে লাগুলো ; আলুলায়িত কেশরাশির সম্মুখে দেহত্বখানি নিবিড় নীরদমালা কোলে স্থির সৌদামিনীর ন্যায় বোধ হতে লাগলো। এইরূপে সেই মূৰ্ত্তিমতী বনদেবী বনের চতুৰ্দ্দিক আলো কর্যে সরসীর কুলে বিরাজ করতে লাগলেন । সে খানে আর সে রূপরাশি কে হৃদয়ে ধারণ করে ; কেবল স্বচ্ছ সরোবর সেই যোগভঙ্গিনী মোহিনীরূপ