পাতা:চয়নিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চয়নিকা
৪৯১

এপারের ভালোবাসা, বিরহস্মৃতির অভিমানে
ক্লান্ত হয়ে, রাত্রিশেষে ফিরিবে সে পশ্চাতের পানে।

—সেঁজুতি

২৫ বৈশাখ, ১৩৪৫

গৌরীপুর ভবন, কালিম্পং


ধুমকেতু মাঝে মাঝে হাসির ঝাঁটায়

ধূমকেতু মাঝে মাঝে হাসির ঝাঁটায়
দ্যুলোক ঝাঁটিয়া নিয়ে কৌতুক পাঠায়
বিস্মিত সূর্যের সভা ত্বরিতে পারায়ে,
পরিহাসচ্ছটা ফেলে সুদূরে হারায়ে
সৌর বিদূষক পায় ছুটি।
আমার জীবন কক্ষে জানি না কী হেতু,
মাঝে মাঝে এসে পড়ে খ্যাপা ধূমকেতু,
তুচ্ছ প্রলাপের পুচ্ছ শূন্যে দেয় মেলি,
ক্ষণতরে কৌতুকের ছেলেখেলা খেলি
নেড়ে দেয় গম্ভীরের ঝুঁটি।
এ জগৎ মাঝে মাঝে কোন্ অবকাশে
কখনো বা মৃদুস্মিত কভু উচ্চ হাসে
হেসে ওঠে, দেখা যায় আলোকে ঝলকে,
তা’রা কেহ ধ্রুব নয়, পলকে পলকে
চিহ্ন তার নিয়ে যায় মুছে।
তিমির আসনে যবে ধ্যানমগ্ন রাতি,
উল্কাবরিষনকর্তা করে মাতামাতি,