এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চয়নিকা
৫০৭
এ দ্যুলোক মধুময়
এ দ্যুলোক মধুময়, মধুময় পৃথিবীর ধূলি,
অন্তরে নিয়েছি আমি তুলি,
এই মহামন্ত্রখানি
চরিতার্থ জীবনের বাণী।
দিনে দিনে পেয়েছি সত্যের যা-কিছু উপহার
মধু রসে ক্ষয় নাই তার।
তাই এই মন্ত্রবাণী মৃত্যুর শেষের প্রান্তে বাজে
সব ক্ষতি মিথ্যা করি’ অনন্তের আনন্দ বিরাজে।
শেষ স্পর্শ নিয়ে যাব যবে ধরণীর
ব’লে যাব তোমার ধূলির
তিলক পরেছি ভালে,
দেখেছি নিতোর জ্যোতি দুর্যোগের মায়ার আড়ালে।
সত্যের আনন্দরূপ এ ধূলিতে নিয়েছে মুরতি
এই জেনে এ ধুলায় রাখিনু প্রণতি।
—আরোগ্য
উদয়ন
১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪১
সকাল
অলস সময় ধারা বেয়ে
অলস সময় ধারা বেয়ে
মন চলে শূন্য পানে চেয়ে!
সে মহাশূন্যের পথে ছায়া আঁকা ছবি পড়ে চোখে।