পাতা:চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SW कृब्रह्याछन অনিবাচনীয় সোহাগ ঢালিয়া বলিল, না বলতে পারেন না-কেন বলন তা ? অকস্মাৎ সতীশের মাথায় যেন ভূত চাপিয়া গেল। তাহার বকে রক্ত তোলপাড় করিয়া উঠিল, সে তৎক্ষণাৎ গাঢ়-স্বরে বলিয়া ফেলিল, কেন জানিনে সাবিত্রী, কিন্তু তুমি রোধে দিলে খাব না বলা আমার পক্ষে শক্ত ? শক্ত ? আচ্ছা, সে একদিন দেখা যাবে ? ঐ যাঃ-রাখালবাবর পাশ-বালিশটা রোদে দিতে ভুলেছি, বলিয়াই চক্ষের নিমেষে সে ঘরের বাহির হইয়া গেল । একটা কথা শানে যাও সাবিত্রী, বলিয়াই সহসা সতীশ সম্পমাখে ঝাকিয়া পড়িয়া হাত বাড়াইয়া তাহার অঞ্চলের ক্ষদ্র একপ্রান্ত ধরিয়া ফেলিল । সাবিত্রী দই চক্ষে বিদ্যুৎ বর্ষণ করিয়া ‘ছি । আসচি।’ বলিয়া এক টান মারিয়া নিজেকে মন্ত করিয়া লইয়া দ্রািতপদে অদশা হইয়া গেল । হঠাৎ কি যেন একটা কাণ্ড ঘটিয়া গেল । তাহার এই অকস্মাৎ সত্ৰাস পলায়ন, এই চাপা-গলায় ‘আসচি” এই চোখের বিদ্যুৎ-বিজাগ্নির মত সতীশের সমান্ত দবিদ্ধিকে এক নিমেষে পড়াইয়া ভস্ম করিয়া ফেলিল। কুৎসিত লক্ষজার ধিক্কারে তাহার সমস্তু শরীর শলবিগধ সাপের মত গটাইয়া গটাইয়া উঠিতে লাগিল । তাহার মনে হইল ইহজন্মে সে অার সাবিত্রীকে মািখ দেখাইতে পরিবে না এবং পাছে কোনো প্রয়োজনে সে আবার আসিয়া পড়ে, এই আশওকায় সে তৎক্ষণাৎ একখানা র্যাপার টানিয়া লইয়া ঝড়ের বেগে বাহির হইয়া পড়িল । তিন-চারিটা সিড়ি বাকী থাকিতে সতীশ উপর হইতে সাবিত্রীর গলা আবার শনিতে পাইল । সো-রান্নাঘর হইতে ছটিয়া আসিয়া মািখ বাড়াইয়া ডাকিয়া বলিতেছিল, একেবারে খাবার খেয়ে বেড়াতে যান। বাব, নইলে ফিরে আসতে দেরি হলে সমস্ত নঘাট হয়ে যাবে। কিন্তু যেন শনিতেই পাইল না, এইভাবে সতীশ উধৰ বাসে বাহির হইয়া গেল । পরদিন সকালবেলা সাবিত্রী যখন রান্নার কথা জিজ্ঞাসা করিতে আসিল, সতীশ আন্তে আন্তে বলিল, কিছু মনে করা না সাবিত্ৰী । সাবিত্ৰী বিস্ময়ের সম্বরে প্রশ্ন করিল, কি মনে করব না ? সতীশ ঘাড় হে’ট করিয়া চুপ করিয়া রহিল। সাবিত্রী মদ হাসিয়া বলিল, বেশ যা হোক। আমার সময় নেই-কি রান্না হবে বলন । उाभ छामिgन्-gडाभाइ बा शे८छ । আচ্ছা, বলিয়া সাবিত্রী চলিয়া গেল, দ্বিতীয় প্রশ্ন করিল না । ঘণ্টা-দাই পরে ফিরিয়া আসিয়া বলিল, কি কা"ড বলন তা । আজো পাদমেকং •ा 2ाछाभ •ाकि ? সতীশ চুপ করিয়া রঞ্জিল । সাবিত্ৰী বলিল, নটা বেজে গেছে যে । সময় উত্তীণ হইবার সংবাদে সতীশ লেশমাত্র উদ্বেগ প্রকাশ না করিয়া বলিল, বাজক গে- আমার আর ভাল লাগছে না।