পাতা:চরিত্রহীন - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sf:12 সরবালা হাসিয়া কহিল, তুমি সব পাের। নইলে মানষ কি এগারোটা পৰ্য্যন্ত পড়ে থাকতে পারে ? উপেন্দ্ৰ কহিলেন, সকলে পারে না, কিন্তু আমি পারি। তার কারণ। শয়ে থাকার LLL DDD mDD BBDBLB BDL DDB BBBD D DD BBDDS DDBBBBDYS সরবালা বলিল, ঠাকুরপো রাগ করে না খেয়ে কলেজে যাচ্ছিলেন, তাই ডেকে পাঠিয়েছিলাম । হেতু ? সরবালা বলিল, রাগ সত্যিই হয় । ও বেচারার সকালে পড়বার জো নেইবাজারে যেতে হবে, ফিরে এসে ঠাকুরপজে করতে হবে । কোনদিন এগারোটা-বারোটা বেজে যায়। বল দেখি, কখনই বা খায়, কখনই বা পড়তে যায় ? ঠিক বঝলাম না । ভটচাীিয্যামশায়ের জবর নাকি ? সরবালা কহিল, জবর হবে কেন ? বাবার সঙ্গে পাশায় বসেছেন ? আর তারই বা অপরাধ কি ? বাবা ডেকে পাঠালে তা তিনি না বলতে পারেন না । উপেন্দ্ৰ কহিল, তা ত পারেন না, কিন্তু আগে তিনি চাকরের সঙ্গে সকালে বাজারে びに更可 ホT? সরবালা কহিল, দিন-কতক শাখা করে গিয়েছিলেন মাত্র । না হলে ঠাকুরপোকেই 平エびて5 リ l হ, বলিয়া উপেন্দ্র পাশ ফিরিবার উপক্ৰম করিতেই সরবালা সািভয়ে ঘলিয়া উঠিল -কার কি, আবার পাশ ফেরো যে ! উপেন্দ্ৰ চুপ করিয়া আরো মিনিট-পাঁচেক পড়িয়া থাকিয়া উঠিয়া পড়িলেন, এবং নিঃশব্দে বহিরে চলিয়া গেলেন । সেইদিন ঠাকুরপ্যজ্য হইল না, এই কথা ভাবিতে ভাবিতে দিবাকর অপ্ৰসন্ন মখে বীরে ধীরে কলেজে চলিয়াছিল । বাড়িতে এইমাত্র যে-সব ব্যাপার ঘাঁটিয়া গেল, সে আলোচনা ভিন্ন ভাবিতেছিল, ঠাকুরের পজা হইল না । অনেকদিনের অনেক অসবিধা সত্তেৰও এ কাজটিকে সে অবহেলা করে নাই, করিবার কথাও কোনদিন মনে উদয় হয় নাই । বিশেষ করিয়া এই কারণেই আজিকার কথা সন্মরণ করিয়া পীড়া অন্যভব করিতে লাগিল। যদিও যাক্সিতক দ্বারা বারংবার মনকে সান্তৰনা দিতে লাগিল যে, ভগবান একটিমাত্র স্থানেই আবদ্ধ নহেন, সতরাং একস্থানে ভোগ না জটিলেও অন্যত্র জটিয়াছে ; তব সেই যে তাহদের অভ্যন্ত গািহদেবতাটি তাঁহার নিত্যপজা ও ভোগ হইতে বঞ্চিত হইয়া ক্লদ্ধিমখে সিংহাসনে বসিয়া রহিলেন, তাঁহার প্রতিহিংসার আশংকা তাহার মন হইতে কিছতেই ঘচিতে চাহিল না। কলেজে গিয়া শানিল, প্রফেসরের অসংখ হওয়ায় প্রথম ঘন্টার ক্লাস বসে নাইশনিয়া দিবাকর প্রফক্স হইল। পরীক্ষা নিকট হইতেছে বলিয়া ছাত্রেরা হাজিরির হিসাবের নিমিত্ত কলেজের কেরানীকে ব্যস্ত করিয়া তুলিয়াছে। আজ অন্যান্য ছাত্রেরা যখন ওই উদ্দেশ্যে অফিস-ঘরের দিকে যাইবার উদ্যোগ করিতেছিল, তখন Some