উঁচিয়ে উপরি উপরি দু’বার গুলি করলে। গুলি লেগেচে কিনা বোঝা গেল না, কিন্তু তখন অশ্বতর মাটীতে লুটিয়ে পড়েচে — ধূসর বর্ণের জানোয়ারটা পলাতক। শঙ্কর পরীক্ষা করে দেখলে অশ্বতরের কাঁধের কাছে অনেকটা মাংস ছিন্ন ভিন্ন, রক্তে মাটী ভেসে যাচ্চে। যন্ত্রণায় সে ছট্ফট্ করচে। শঙ্কর এক গুলিতে তার যন্ত্রণার অবসান করলে।
তারপর সে তাঁবুতে ফিরে এল। সাহেব বল্লে— সিংহ নিশ্চয়ই জখম হয়েচে। বন্দুকের গুলি যদি গায়ে লাগে তবে দস্তুর মত জখম তাকে হতেই হবে। কিন্তু গুলি লেগেছিল তো? শঙ্কর বল্লে — গুলি লাগালাগির কথা সে বলতে পারে না। বন্দুক ছুঁড়েছিল,এইমাত্র কথা। লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজি করে দু তিন দিনেও কোনো আহত বা মৃত সিংহের সন্ধান কোথাও পাওয়া গেল না।
জুন মাসের প্রথম থেকে বর্ষা নাম্ল। কতকটা সিংহের উপদ্রবের জন্যে, কতকটা বা জলাভূমির সান্নিধ্যের জন্যে জায়গাটা অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় তাঁবু ওখান থেকে উঠে গেল।
শঙ্করকে আর কনষ্ট্রাক্সন তাঁবুতে থাকতে হোল না। কিসুমু থেকে প্রায় ত্রিশ মাইল দূরে একটা ছোট ষ্টেশনে সে ষ্টেশন মাষ্টারের কাজ পেয়ে জিনিষ পত্র নিয়ে সেইখানেই চলে গেল।