লক্ষ্য করলে আলভারেজের নাসিকা গর্জ্জন শুরু হয়েচে। শঙ্করের চোখে ঘুম এল না।
আধঘণ্টা পরে শঙ্করের মনে হল, আলভারেজের নাসিকা গর্জ্জনের সঙ্গে পাল্লা দেবার জন্যে টাঙ্গানিয়াকা অঞ্চলের সমস্ত সিংহ যেন এক যোগে ডেকে উঠল। সে কি ভয়ানক সিংহের ডাক! …আগেও শঙ্কর অনেকবার সিংহগর্জ্জন শুনেচে, কিন্তু এ রাত্রের সে ভীষণ বিরাট গর্জ্জন তার চিরকাল মনে ছিল। তাছাড়া ডাক তাঁবু থেকে বিশ হাতের মধ্যে।
আলভারেজ আবার জেগে উঠল। বল্লে — নাঃ, রাত্রে দেখচি একটু ঘুমুতে দিলে না। আগের সিংহটার জোড়া। সাবধানে থাকো। বড় পাজী জানোয়ার।
কি দুর্যোগের রাত্রি! তাঁবুর আগুনও তখন নিভু-নিভু। তার বাইরে তো ঘুটঘুটে অন্ধকার। পাতলা কেম্বিসের চটের মাত্র ব্যবধান — তার ওদিকে সাথীহারা পশু। বিরাট গর্জ্জন করতে করতে সেটা একবার তাঁবু থেকে দূরে যায়, আবার কাছে আসে, কখনো তাঁবু প্রদক্ষিণ করে।
ভোর হবার কিছু আগে সিংহটা সরে পড়লো। ওরাও তাঁবু তুলে আবার যাত্রা শুরু করলে।