পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s०२ চারিত্রপূজা জল খাইবার পাত্র। সত্যকার তৃষ্ণ যাহার আছে, সে জলের জন্তই ব্যাকুল হইয়া ফিরে সে উপযুক্ত মুযোগ পাইলে গণ্ডষে করিয়াই পিপাসা নিবৃত্তি করে। কিন্তু যাহার পিপাসা নাই, সে পাত্রটাকেই সব চেয়ে দামী বলিয় জানে। সেই জল কোথায় পড়িয়া থাকে, তাহার ঠিক নাই, পাত্র লইয়াই পৃথিবীতে বিষম মারামারি বাধিয়া যায় তখন ৰে ধৰ্ম্ম বিষয়বুদ্ধির ফাস আলগা করিবে বলিয়া আসিয়াছিল, তাহা জগতে একটা নূতনতর বৈষয়িকতার স্বল্পতর জাল স্বষ্টি করিয়া বসে, সে জাল কাটানো শক্ত । ধৰ্ম্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতারা নিজের নিজের সাধ্যানুসারে আমাদের জন্ত, মাটির হৌকৃ আর সোনার হেীকৃ, এক একটা পাত্র গড়িয়া দিয়া যান । আমরা যদি মনে করি, সেই পাত্রট। গড়িয়া-দিয়া যাওয়াই তাছাদের মাহায্যের সব চেয়ে বড়ে পরিচয়, তবে সেটা আমাদের ভূল হইবে। কারণ, পত্রিটি আমাদের কাছে যতই প্রিয় এবং যতই সুবিধাকর হউক, তাহা কখনই পৃথিবীর সকলেরই কাছে সামন প্রিয় এবং সমান সুবিধাকর হইতে পারে না। ভক্তির মোহে অন্ধ হইয়া, দলের গৰ্ব্বে মত্ত হইয়া, এ কথা ভুলিলে চলিবে না। কথামালার গল্প সকলেই জানেন—শৃগাল থালায় ঝোল রাখিয়া সারসকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিল, লম্বা ঠোঁটু লইয়া সারস তাহা খাটতে পারে নাই। তার পর সারস যখন সরুমুখ চোঙের মধ্যে ঝোল রাখিয়া শৃগালকে ফিরিয়া নিমন্ত্ৰণ করিল তখন শৃগালকে ক্ষুধা লইয়াই ফিরিতে হইয়াছিল। সেইরূপ এমন সৰ্ব্বজনীন ধৰ্ম্মসমাজ আমরা কল্পনা করিতে পারি না, যাহা তাহার মত ও অনুষ্ঠান লইয়া সকলেরই বুদ্ধি, রুচি ও প্রয়োজনকে পরিতৃপ্ত করিতে পারে। অতএব শাস্ত্রীয় ধৰ্ম্মমত ও আনুষ্ঠানিক ধৰ্ম্মসমাজ স্থাপনের দিক হইতে পৃথিবীর ধৰ্ম্মগুরুদিগকে দেখা তাহাদিগকে ছোটো করিয়া দেখা ।