পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8 চারিত্রপূজা শম্ভুচন্দ্র অন্যত্র লিখিতেছেন, “১২৬৬ শাল হইতে ৭২ শাল পর্য্যন্ত ক্রমিক বিস্তর বিধবা কামিনীর বিবাহকাৰ্য্য সমাধা হয়। ঐ সকল বিবাহিত, লোককে বিপদ হইতে রক্ষার জন্য অগ্রজমহাশয় বিশেষরূপ যত্নবান ছিলেন। উহাদিগকে মধ্যে মধ্যে আপন দেশস্থ ভবনে আনাইতেন । বিবাহিতা ঐ সকল স্ত্রীলোককে যদি কেহ ঘৃণা করে, এ কারণ জননীদেবী ঐ সকল বিবাহিত ব্রাহ্মণজাতীয়া স্ত্রীলোকের সহিত একত্র একপাত্রে ভোজন করিতেন।”+ অথচ তখন বিধবাবিবাহের অন্দোলনে দেশের পুরুষেরা বিদ্যাসাগরের প্রাণসংহারের জন্ত গোপনে আয়োজন করিতেছিল, এবং দেশের পণ্ডিতবর্গ শাস্ত্র মন্থন করিয়া কুযুক্তি এবং ভাষা মন্থন করিয়া কটুক্তি বিদ্যাসাগরের মস্তকের উপর বর্ষণ করিতেছিলেন ; আর এই রমণীকে কোনো শাস্ত্রের কোনো শ্লোক খুজিতে হয় নাই ; বিধাতার স্বহস্তলিপিত শাস্ত্র তাহার হৃদয়ের মধ্যে রাত্রিদিন উদঘাটিত ছিল । অভিমন্ত্র্য জননীজঠরে থাকিতে যুদ্ধবিদ্যা শিপিয়ছিলেন, বিদ্যাসাগরও বিধিলিখিত সেই মহাশাস্ত্র মাতৃগর্ভবাসকালেই অধ্যয়ন করিয়া আসিয়াছিলেন। আশঙ্কা করিতেছি, সমালোচকমহাশয়ের মনে করিতে পারেন যে, বিদ্যাসাগরসম্বন্ধীয় ক্ষুদ্র প্রবন্ধে তাহার জননীসম্বন্ধে এতখানি আলোচনা কিছু পরিমাণবছিভূত হইয়া পড়িতেছে। কিন্তু এ কথা র্তাহারা স্থির জানিবেন, এখানে জননীর চরিতে এবং পুত্রের চরিতে প্রভেদ নাই, তাহারা যেন পরম্পরের পুনরাবৃত্তি । তাহা ছাড়া, মহাপুরুষের ইতিহাস বাহিরের নানা কার্য্যে এবং জীবনবৃত্তান্তে স্থায়ী হয়, আর, মহৎ-নারীর ইতিহাস র্তাহার পুত্রের চরিত্রে তাহার স্বামীর কাৰ্য্যে রচিত হইতে থাকে, এবং সে লেখায় তাহার নামোল্লেখ থাকে না । কলম্বোদশজুত্র বিদ্যান প্রণীতবিদ্যাসাগরজীবনচরিত, ১৬ পৃষ্ঠা =