পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 চারিত্রপূজা পূজনীয় পিতৃদেবের আজ অষ্টাশীতিতম সাংবৎসরিক জন্মোৎসব। এই উৎসবদিনের পবিত্রতা আমরা বিশেষভাবে হৃদয়ের মধ্যে গ্রহণ করিব । বহুতর দেশকে সঞ্জীবনস্পর্শে উর্বর করিয়া, পুণ্যধারায় বহুতর গ্রামনগরীর পিপাসা মিটাইয়া, অবশেষে জাহ্নবী যেখানে মহাসমুদ্রের প্রত্যক্ষসমূখে আপন সুদীর্ঘ পৰ্য্যটন অতলস্পর্শ-শাস্তির মধ্যে সমাপ্ত করিতে উষ্ঠত হন, সেই সাগরসঙ্গমস্থল তীর্থস্থান। পিতৃদেবের পূতজীবন অস্ত আমাদের সম্মুখে সেই তীর্থস্থান অবারিত করিয়াছে। তাহার পুণ্যকৰ্ম্মরত দীর্ঘজীবনের একাগ্রধারা অল্প যেখানে তটহীন, সীমাশূন্ত, বিপুল বিরামসমুদ্রের সন্মুখীন হইয়াছে, সেইখানে আমরা ক্ষণকালের জন্য নতশিরে স্তব্ধ হইয়া দণ্ডায়মান হইব । আমরা চিন্তা করিয়া দেখিব, বহুকাল পূৰ্ব্বে একদিন স্বৰ্গ হইতে কোন শুভ স্বৰ্য্যকিরণের আঘাতে অকস্মাৎ মুপ্তি হইতে জাগ্রত হইয়া কঠিন তুষারবেষ্টনকে অশ্রধারায় বিগলিত করিয়া এই জীবন আপন কল্যাণযাত্রা আরম্ভ করিয়াছিল— তখন ইহার ক্ষীণ স্বচ্ছধারা কখনো আলোক, কখনো অন্ধকার, কখনো আশা, কখনো নৈরাপ্তের মধ্য দিয়া দুর্গম পথ কাটিয়া চলিতেছিল। বাধা প্রতিদিন বৃহদাকার হইয়া দেখা দিতে লাগিল—কঠিন প্রস্তরপিওসকল পথরোধ করিয়া দাড়াইল—কিন্তু সে সকল বাধায় স্রোতকে রুদ্ধ না করিতে পারিয়া দ্বিগুণবেগে উদ্বেল করিয়া তুলিল—দুঃসাধ্য দুর্গমতা সেই দুৰ্ব্বার বলের নিকট মস্তক নত করিয়া দিল। এই জীবনধারা ক্রমশ বৃহৎ হইয়া, বিস্তৃত হইয়া লোকালয়ের মধ্যে অবতরণ করিল, দুই