পাতা:চারুচরিত.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ চারুচরিত। ধৰ্ম্ম মহে দেখ, যে নিমুগাতে বিচক্ষণ ব্রাহ্মণগণ স্নান করেন, বর্ণাধম মুৰ্থজনেও তাহাতেই অবগাহন করিয়া থাকে। ময়ূরভরে যে লতা অবনত হয় বায়সগণও সেই বঙ্গীকে মামিত করে । মহাজনগণ যে তরণী আলম্বনে পার হয়েন, নিকৃষ্ট লোকে তাছাতেই তরিতেছে। অতএব তুমি নদী, লতা, ও তরণী তুলা; সুতরাং সকলের মনোরথ পূর্ণ করা এক প্রকার তোমাদিগের ধৰ্ম্ম বলিতে হইবেক । অর দেখ, বেশ-কামিনী কলাপের কলেবর অর্থগম্য ; অতএব তুমি সেই দরিদ্র চারুদণ্ডেয় প্রতি অনুরক্ত হইয়া কি মুখ সম্ভোগ করিবে ? আমি শপথ বাক্যে কহিতেছি ভূমি আমার প্রণয়িনী হইলে আমার সমুদয় ঐশ্বৰ্য্যের অধীশ্বরী হইবে । স্বাক্ষরি ! আমি তোমার হিতাকাঙ্ক্ষায় এই সকল কথা কহিলাম যদ্যপি আত্ম কল্যাণ ইচ্ছা কর তবে আমার অভিপ্রেত সাধনে অম্বুরাগিণী হও অন্যথা আশেষ অমঙ্গল ঘটিবে। ” . . . . . সংস্থানকের ঈদৃশ বিtাজ বাক্যে ভয়বিৰল। বসন্তসেনা বিবেচনা করিলেন জামার বহুমূল্য ভূষণ গ্রহণে লোলুপ হইয়া পাপপুরুষগণ উৎপাত উপস্থিত।