&» চাৰুনীতি পাঠ । বিরাম হইল না । কতকগুলি ছাত্র তাহার নিকট সৰ্ব্বদা থাকিত, তিনি মুখে মুখে যাহা অনুবাদ করিতেন তাহারা তাহা লিপিবদ্ধ করিত। একদিন পীড়ার আতিশয্য বশতঃ তিনি প্রিয় ছাত্রদিগকে বলিলেন, “আমি আর কতক্ষণ জীবিত থাকিব ? অষ্টা আমাকে অতি শীঘ্রই গ্রহণ করিবেন কি না জানি না, সত্বর লিখ।’ ঈশ্বর কৃপায় সে দিন নিরাপদে গত হইল। পরদিন একটা ছাত্র বলিল, “ মহাশয় ! এখনও অার এক অধ্যায় অবশিষ্ট রহিয়াছে, আর অধিক কথা বলিতে কি কষ্ট ও বিরক্তি বোধ করেন?” মহাত্মা বিড় বলিলেন, “না, কোন কষ্ট নাই, তৎপর হও, লেখনী লও, শীঘ্ৰ লিখ।” এইরূপে সে দিবসও সন্ধ্য পৰ্য্যস্ত আনন্দে অতিবাহিত হইল । তৎপরে যে ছাত্র তাহার হইয়া লিখিতেছিল, বলিয়া উঠিল, “আর একটী মাত্র বাক্য লিখিলেই হয়।” তিনি বলিলেন, “শীঘ্র শীঘ্র লিখ।” কিয়ৎক্ষণ পরে ছাত্র বলিল, “এক্ষণে সমাপ্ত হইয়াছে।” তিনি বলিলেন, “ভাল তুমি ঠিক বলিয়াছ, সকলই ফুরাইয়াছে, আমার মাথা তুলিয়া ধর, এ সময় পবিত্র উপাসনা স্থানের সন্মুখে উপবিষ্ট থাকা অতি সুখকর । আমি সেই স্থানে বসিয়া স্বৰ্গীয় পিতাকে একবার ডাকি ৷” - এই বলিয়া মহাত্মা বিড পরমেশ্বরের মহিমা গান করিত্তে করিতে শান্তিধামে গমন করিলেন। = a -
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।