"v চাৰুনীতি পাঠ । স্থামে এক নূতন সেতু নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। তাহারা অবাক, হইয়া নিরাপদে সেতু উত্তীর্ণ হইল এবং ভাবিতে লাগিল যে তাহারা অমূলক দুশ্চিন্তা করিয়া মিছামিছি কষ্ট পাইয়াছে। উপরে যে গল্পট বর্ণিত হইল তাহার মধ্যে একটা অমূল্য উপদেশ রহিয়াছে । আমরা যে জগতে রাশি রাশি দুঃখ দেখিতে পাই, তাহার অনেকের মূলে কি এই দেখিতে পাওয়া যায় না যে ঈশ্বরের প্রতি নির্ভর করিতে না পারাতে আমরা কল্পনার সাহায্যে অনেক সময়ে নূতন নূতন বিপদের ছবি মনোমধ্যে অঙ্কিত করিয়! আবার তদর্শনে নিজেই ভীত ও চিন্তাকুল হই ? কবে একটা দুর্ঘটনা বা বিপদ ঘটিবে এই ভাবিয়া অনেক সময়ে আমাদের চক্ষু কপালে উঠে, কিন্তু যদি আমরা নির্ভরশীল হইতে পারি, যদি মঙ্গলময় সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরকে অবলম্বন করিয়া থাকিতে পারি, তাহাহইলে আমরা অনায়াসেই নিশ্চিন্ত ও নির্ভয় হইয়া যাই । সেই মহাত্মাই ধন্য যিনি সকল অবস্থায় ঈশ্বরের উপর নির্ভর করিয়া জীবন যাপন করিতে পারেন । οξ ο নির্ভরশীলতা । “পিতা আমার ডেকের উপর আছেন ত ?” কয়েক বৎসর অতীত হইল কোন জাহাজের কাপ্তেন একবার সপরিবারে জলপথে গমন করিতেছিলেন। এক রজনীতে সকলে সুখে নিদ্রা যাইতেছে, এমন সময়ে ভয়ানক ঝটিকা উখিত হইয়া পোতকে মগ্নপ্রায় করিল, জাহাজ এক
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।