চাৰুনীতি পাঠ । আসিবে। তাহারা উভয়ে প্রায় এক মাইল পথ ভ্রমণ করিয়া অবশেষে পথপাশ্বস্থ একটা সুপরিস্কৃত কুটীরের নিকট পৌছিলেন। ঐ কুটীরের বহিদ্বারে এক বৃদ্ধ কার্য্যে ব্যস্ত ছিলেন এবং তাহার পাশ্বে একটা ক্ষুদ্র বালিকা মোজা বুনিতেছিল । এনের খুড়ী তাহাদের নিকটবৰ্ত্তী হইয়া সম্ভাষণ করিলেন, “আজ বড় সুপ্রভাত বিবী ব্রাইয়েন্ ! আজি আমি তোমার পৌত্রীর সহিত সাক্ষাৎ ও আলাপ হইবে বলিয়া আমার ভাইঝিকে আনিয়াছি।” এই কথা শুনিয়া বৃদ্ধ ব্রাইয়েন তাহাকে ধন্যবাদ পূর্বক বলিলেন, “এনের সহিত আলাপ করা সুসেনের পক্ষে বড়ই সুখকর হইবে। আহা ! হতভাগিনীর ংসারে অতি অল্পই আমোদ আছে। হায় ! অন্ধ হওয়৷ কি বিষাদজনক ! এ দিকে এন্ সুসেনকে অন্ধ দেখিয়া বলিল, “দুভাগিনি বালিকে, তুমি কি অন্ধ ? চন্দ্র, স্বৰ্য্য, বৃক্ষ, ক্ষেত্র, পুষ্প বা মনুষ্যমুখ কিছুই দেখিতে পাওনা ? তুমি কি চিরঅtধারের মধ্যে থাক ?” স্বসেন বলিল, “তুমি যাহা বলিলে তাহ সত্য, আমি কিছুই দেখিতে পাই না। আজ কয়েক বৎসর হইল আমার দর্শনশক্তি নষ্ট হষ্টয়াছে।” এন বলিল, “আমি সত্যই তোমার জন্য সাতিশয় দুঃখিত হইলাম । উঃ ! চির অন্ধকারে থাকা কি ভসুনিক ।” সুসেন এনের এই শেষ বাক্যটা গুনিয়া বলিয়া উঠিল *না, না, তা কেন, আমার অন্ধকারের মধ্যে থাকা অভ্যাস হইয়াছে। তা ছাড়া, ঠাকুর মা বলেন, অামাদের
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।