পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ চাৰুনীতি পাঠ । অন্তরে অমিত বল সঞ্চার করে এবং পাপাসুরকে পরাস্ত করিয়া আমাদের মস্তকে বিজয়মুকুট পরাইয়া দেয়। সৰ্ব্বোপরি এই জ্ঞান আমাদিগকে দেবাভরণে ভূষিত করিয়া সকল প্রকার অসত্য, অন্যায় ও ভ্ৰমান্ধকারের পরপার সেই জ্ঞানময় প্রভু পরমেশ্বরের সন্নিধানে লইয়া যায়। বহির্জগতে জ্ঞান কি কি মহৎকাৰ্য্য নিয়ত সংসাধিত করিতেছে, তাহা বিশেষ করিয়া বিবৃত করিতে হইলে এই গ্রন্থের ক্ষুদ্র কলেবর পরিপূর্ণ হইয়া যায় ; তবে এই মাত্র বলিলেই যথেষ্ট হইবে সভ্যতার পরিপোষক শিল্পের সাহায্যে যে কিছু অপূৰ্ব্ব অপূৰ্ব্ব সামগ্ৰী দেখিতে পাওরা যায়, সকলের মূল দেশে এই জ্ঞান বিদ্যমান থাকিয়া আশ্চর্য্যরূপে কাৰ্য্য করিতেছে । এক্ষণে, জ্ঞান সাধনের কয়েকটা উপায় নির্দিষ্ট হইতেছে — ১ম। প্রকৃতি-সঙ্গ । ২য় । লোক-সঙ্গ । ৩য় । গ্ৰন্থ-সঙ্গ । মানব মনে জ্ঞান লাভের বসিমা স্বভাবতঃ অত্যন্তু বলবতী । পরমেশ্বর মনুষ্যকে যে কয়েকটা বহিরিক্রিয় ও অন্তরিক্রিয় প্রদান করিয়াছেন, তাহাই জ্ঞানলাভের দ্বার স্বরূপ । ইহাদিগের মধ্য দিয়া মানব জ্ঞানোপাৰ্জ্জন করে । মানব-শিশুর নিমীলিত্ত নেত্রে যে দিবস প্রথমে আলোক রশ্মি প্রবেশ করে, সেই দিন হইতে আরম্ভ করিয়। উক্ত ইন্দ্রিয়গণের সাহায্যে যে জ্ঞান লাভ হইতে থাকে, সে জ্ঞানের আর পরিসমাপ্তি নাই। জ্ঞানের জলধি মধ্যে দিবারাত্রি নিমগ্ন থাকিয়াও মানবের জ্ঞানপিপাসা নিবৃত্ত হইবার নহে, এ দারুণ পিপাসা অনন্ত জ্ঞানের 'উৎস