8w চাৰুনীতি পাঠ । করিতে থাকে। ভাষা-তত্ত্বানুসন্ধায়ী-পণ্ডিতগণ শিশুর এই স্বাভাবিক শিক্ষাপ্রণালীর মধ্যে বিজ্ঞানের অতি গভীর তত্ত্ব শিক্ষা করিতে পারেন । শিশুর গতি ক্রিয়া শিক্ষাপ্রণালীও সামান্য আশ্চৰ্য্য নয়। মৎস্য, কুৰ্ম্ম, বরাহ, বামন এই সকল অবতারের অভিনয় করিয়া শিশু দ্বিপদের উপর ভর দিয়া চলিতে থাকে। শিশুর হস্ত পদে যখন একটু বল সঞ্চার হইয়াছে, তখন তাহাকে ধরিয়া রাখে কাহার সাধ্য ? সে এক্ষণে সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থা হইতে উত্তীর্ণ হইয় অপেক্ষাকৃত স্বানুবৰ্ত্তীর্ণ হইতে শিখিয়াছে, গৃহের মধ্যে এঘর ওঘর করিতে শিখিয়াছে, অনুসন্ধান প্রবৃত্তির দিন দিন পরিচালনা ও স্ফৰ্ত্তি হইতেছে। এ জগতের বাহা কিছু আমাদিগের ইন্দ্রিয়গোচর হয়, সে সকলই শিশুর চক্ষে নুতন, সুতরাং আকাশ, চন্দ্র, স্বৰ্য্য, নক্ষত্র, বিদ্যুৎ, মেঘ, বৃক্ষ, লতা, পুষ্প, পশু, পক্ষী, সকলই শিশুর চক্ষে অতিশয় প্রিয়দর্শন। এক্ষণে শিশু জননীর ক্রোড়ে বসিয়া বা জনকের বক্ষঃস্থলে উঠিয়া “এটা কি ? * “ওটা কি ?” ইত্যাদি মধুমাখা কথায় সকলকে মোহিত করিতে থাকে এবং সেই সঙ্গে তাহার কত ভাবোদয় ও জ্ঞান সঞ্চারের স্বত্রপাত হয় ! এই যে অনুসন্ধিৎসার উন্মেষ হইল, ইহাকেই শিশুর শিক্ষা ও উন্নতির মূলীভূত কারণরূপে নির্দেশ করিতে হুইবে, কারণ আমরা দেখিতে পাই যে মানবের এই প্রবৃত্তির অপরিমেয় আকাঙ্ক কিছুতেই পরিতৃপ্ত হইবার নহে। শিক্ষার পর শিক্ষা উন্নতির পর উন্নতি, তবুও এই শিক্ষা এই উন্নতি ফুরায় না,—দ্রষ্টব্য যাহা দেখিল, চক্ষু কিয়ৎপরিমাণে তুপ্তি লাভও করিল, কিন্তু তবুও দর্শন ম্প হা
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।