পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

օ/օ কে না অবগত আছেন যে এই শিক্ষারই অভাবে চরিত্রে সেই সকল সদগুণ প্রস্ফুটিত হওরা দূরে থাকুক, অঙ্কুরেই বিনষ্ট হইয়া থাকে। বালকগণের চরিত্রগঠন সম্বন্ধে যে সকল শক্তি কাৰ্য্য করিয়া থাকে, তন্মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষা শ্ৰেষ্ঠতম বলিয়া বিবেচনা করিতে হইবে ; অতএব বালকের শিক্ষা দ্বারা এরূপ বিকৃতভাবাপন্ন হইতেছে, কোন বিবেচক ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি এরূপ ভ্ৰমাত্মক সিদ্ধান্তে উপনীত হইবেন ? শিক্ষার ক্ষেত্র অসীম। প্রকৃতরূপে এই ক্ষেত্রে কার্য্য হইলে, শিক্ষা সুফল ব্যতিরেকে কুফল কখনই প্রসব করিবে না । সে শিক্ষা, শরীর, মন ও আত্মাকে পরস্পর অবিরোধে পরিপুষ্ট করে,-সেই সমঞ্জসীভূত শিক্ষা দুর্ভাগ্যক্রমে আজকাল দেশ মধ্যে অতীব বিরল হইয়া উঠিয়াছে। বালকেরা যে ভাবে অধিকাংশ স্থলে শিক্ষিত হইতেছে, তাহাতে দেখিতে পাওয়া যায় যে মনোবৃত্তি সতেজ করাই যেন এই শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য। শরীরের প্রতি দৃষ্টি করিতে হইবে, আত্মার কি দশা হইতেছে তাহা বিবেচনা করিতে হইবে, ইহা যেন আদেী চিন্তনীয় বিযয় নহে। সৌভাগ্যক্রমে কিয়দিনবিধি বিদ্যালয়ে নীতিশিক্ষা প্রদান অত্যন্ত আবশ্যক, এইরূপ একটা রব উথিত হইয়াছে। কিন্তু এই রব অনুসারে কতদূর কার্য্য হইতেছে দেখিতে গেলে ঘোর নৈরাশ্যে পতিত হইতে হয় । অতি অল্প বিদ্যালয়ে নীতি শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র সময় নির্দিষ্ট হইয়া থাকে, বা এই শিক্ষার উপযোগী গ্রন্থ পঠিত হয়। অপরস্তু উক্তবিধ গ্রন্থ পঠিত হইলেও অধ্যাপনার দোষে উহ! তাদৃশ ফলপ্রদ হয় না। কিন্তু ইহাও অবশ্য স্বীকার্য্য