o চাৰুনীতি পাঠ । ঘোষণা করিলেন, পৃথিবীতে স্বৰ্গরাজ্য সংস্থাপনের জন্য অশেষ নির্যাতন সহ্য করিয়া অবশেষে ক্রুশে বিদ্ধ হইয়াও শত্রুর হিতার্থ জগৎপিতার নিকট সকাতরে প্রার্থনা করিতেছেন “পিতঃ ! তfহাদিগকে ক্ষমা কর, কারণ তাহারা কি করিতেছে জানে না।” এই অমানুষী জীবনের দৃশ্য কি সুন্দর নহে?—ঐ যে মহাত্মা শাক্যসিংহ নরনারীর মুক্তির পথ প্রদর্শন করিবার জন্য রাজপুত্র হইরাও সকল ঐশ্বৰ্য্য সুখ পরিত্যাগ করিয়া নিতান্ত দীনহীন ভিখারীর বেশে পিতার গৃহ হইতে বহির্গত হইলেন, এই মহাত্মার জীবনের দৃশ্য কি মনোহর নহে ?—ঐ যে শ্রীচৈতন্য ভক্তিহীন নীরস প্রচণ্ড জ্ঞানাভিমানপূর্ণ বঙ্গে ভক্তিনদী প্রবাহিত করিবার জন্য বধু বিষ্ণুপ্রিয়া ও জননী শচী দেবীকে পরিত্যাগ করিয়া, ংসারের সকল সুখভোগ হইত জন্মের মত বিদায় গ্রহণ করিয়t লোকের দ্বারে দ্বারে প্রির “হরিনাম” ঘোষণা করিয়া বেড়াইলেন, ঘোর পাষণ্ড দুবৃত্ত জগাই সাধাইকে বিশ্বজনীন প্রেমদানে উদ্ধার করিলেন, যে জাতিভেদ প্রথা নরনারীর স্বাভাবিক ভ্রাতৃভগিনী ভাব দূর করিয়া দেয়, সকল প্রকার জাতীয় উন্নতির পথে কণ্টক নিক্ষেপ করে, ভারতের অশেষ দুৰ্গতির কারণ সেই জাতিভেদ প্রথা যিনি উন্মুলন করিলেন, “ব্রাহ্মণ শূদ্রে প্রভেদ” একথা আর যাহার হৃদয়ে স্থান প্রাপ্ত হইল না, যবন হরিদাস ও হিন্দুদিগের অস্পৃশ্য চণ্ডালও র্যাহার প্রেমালিঙ্গন প্রাপ্ত হইল, যিনি মধুর হরিনাম শুনাইয়। তাহাদিগকে কৃতাৰ্থ করিলেন, সেই মধুময় জীবনের দৃশ্য কি মনোহর নহে? কতশত বৎসর অতীত হইল মহাত্মা ঈশা,
পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।