এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
-হারু-
কাটিয়া গিয়াছিল। হারুর বাপ হারুকে কত বুঝাইতে লাগিল,—“হারু, ছি ছি; খোকন্ বাবু মারিয়াছেন্,— তিনি জমীদার,—রাজা, তাঁহার সঙ্গে কি অমন করিতে হয়? পণ্ডিত মহাশয়রা মারেন না? কত সময় তাঁহারাও তো মারেন। লেখা পড়া শিখিতে গেলে কত কষ্ট সহিতে হয়। আর অমন করি না। খোকন্ বাবু যদি তোর কাছে কোন দোষও করিয়া থাকেন, তো সে দোষ তুই ভুলিয়া যা। তাঁহাকে দেখিলে নমস্কার দিস্। তিনি তোর বড়। জমীদার -দেবতার সমান; তাঁহারই ভিটায় তোর বাপ দাদা মানুষ। ছি, আর যেন এমন হয় না।”
হারু, বাপের সবগুলি কথা শুনিল। শুনিয়া, হারু, আর, কাঁদিল না। চারুকে সে মনে মনে নমস্কার জানাইল। চারু যে তাহাকে এত শাস্তি করিয়াছে, সব ভুলিয়া গেল। গিয়া, সে যে গাছ-গাছালি লাগাইয়াছিল, সেইগুলিতে জল দিতে লাগিল।
-ছেলেদের উপন্যাস-
৩৫