না পার, তবে বুঝিবে। ওপাড়ার ছেলেরা জলপানি পাইল, দেখি এবার তোমাদের কি হয়।”
শুনিয়া উহাদের মুখ শুকাইয়া যায়। এতদিন দুষ্টামী করিয়া, খেলিয়া দিন কাটাইয়াছে, এখন পাঠশালাতেও মুখ চূণ, বাড়ীতেও মুখ চূণ!
দুষ্টগুলা পাঠশালা হইতে পলায়, বাড়ী হইতে পলায়, দীঘির ওই ওপারে খোকন্ বাবুদের বাগানবাড়ী, সেইখানে গিয়া, কি, এখানে ওখানে গিয়া লুকাইয়া বেড়ায়। যখন সকলে পলাইয়া গিয়া একত্র হইয়া খেলায় মন দেয়, তখন পরীক্ষা টরীক্ষা ভুলিয়া গিয়া ধিড়িং ধিড়িং নাচ!! তাহার পর মারামারি, ঝগড়া!!
খোকন্বাবু চারুর অহঙ্কার কে দেখে; এবার তাহার পরীক্ষার বৎসর!! চারু খুব মোটা ঝক্ঝকে সোণার নূতন হার পরিয়া আসিয়াছে, আগে দুইটা আংটি ছিল, অজ পাঁচটা আংটি হাতে দিয়া আসিয়াছে। হারু এক কোণে বসিয়া পড়িতেছিল, তাহাকে গিয়া গর্ব্ব করিয়া করিয়া সেই সব দেখাইতে লাগিল, বলিল,—“দেখিয়াছিস্! বাবা এবার এই সব জিনিষ