হারু এখন রোজ এইগুলির যত্ন করে। এখন আর তাহাদের তরি-তরকারি কিনিতে হয় না। বড় আমগাছগুলির পিছন দিয়া হারু এক সারি শুপারির চারা লাগাইয়া দিয়াছে। কলাগাছ লাগাইয়াছিল, কলা গাছের তিন চারিটার কলার ছড়া খুব বড় হইয়াছে। নেবু গাছে ফুল ধরিয়াছে। নারিকেলের চারা দুইটি পাতা মেলিয়াছে। নরুদের বাড়ী হইতে গাঁদা ফুলের গাছ, করবীর গাছ, জবা ফুলের গাছ আনিয়া কুঁড়ের সামনে দু’সারি করিয়া লাগাইয়া দিয়াছিল, সেগুলিতে রাশি রাশি ফুল ফুটিয়া রহিয়াছে।
ও পাড়ার বামণ-পিসী আসিয়া ডাকেন,—“হারু, আমার পূজার ফুল কৈ?”
হারু তাঁহাকে পূজার ফুল তুলিয়া দেয়, সিম, বেগুন, এসব দেয়। হারুর তাহাতে কত আনন্দ!
বামণ-পিসী রামায়ণ নিয়া আসেন, হারু তাঁহাকে রামায়ণ পড়িয়া শুনায়। রামায়ণের কত জায়গা হারুর মুখস্থ হইয়া গিয়াছে! রামায়ণ তাহার কাছে কত সুন্দর লাগে! তাহার মুখে রামায়ণ পড়া শুনিয়া বামণ-পিসী, আর পাড়ার সকলে কত খুসী।