এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
-হারু-
সে এক ভিখারীর ছেলে। ভিখারীর ছেলে কাঁঁদি্য়া ফেলিল। দুই দিন ধরিয়া খাইতে পায় না, ক্ষুধার জ্বালায় শশা ছিঁড়িয়াছিল। সে কথা বলিয়া, ভিখারীর ছেলে দুই চক্ষের জল ছাড়িয়া দিয়া কাঁদিতে লাগিল।
আহা, হারুর চক্ষে জল আসিল। হারু বলিল,“আহা ভাই, ওর তো বড় কষ্ট! ভাই, উহাকে আর কিছু বলিস্ না।”
নরুদেরও চক্ষু ভিজিয়া জল আসিতেছিল। মুছিল। ভিখারীর ছেলের হাত ধরিয়া শশা দুইটি তাহার হাতে দিয়া, হারু বলিল,—“ভাই, শশা দুইটি তুই নে। তোর ক্ষুধা পাইয়াছে, ঘরে মুড়ি আছে, আয় ভাই, খা’বি।”
নরু, অবিনাশ, রহিম, হারু, সকলে তাহাকে নিয়া গিয়া মুড়ি, নূণ, আনিয়া দিল।
ছেলেটিকে খুঁজিতে খুঁজিতে লাঠি ভর করিয়া সেই সময় তাহার বুড়া মা সেখানে আসিয়াছে। সকল দেখিয়া, বুড়ী, -“আহা এমন সোণার বাছা তোরা
৫৪
-ছেলেদের উপন্যাস-