পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইতেও তাহাকে রক্ষা করিয়াছে— এই গ্রন্থে মুদ্রিত পত্রাবলীতে তাহার সাক্ষ্য বিকীর্ণ। এই চিঠিগুলিতে দেখি, প্রিয়নাথ সেন কেবল সাহিত্যের ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথের উৎসাহদাতা নন, বৈষয়িক ব্যাপারেও, ঋণমুক্তির চেষ্টায় তাহার অন্তরঙ্গ পরামর্শদাতা ; কবির জ্যেষ্ঠ কন্যার বিবাহে প্রধান উদ্‌ষোক্তা। অপর পক্ষে দেখি, রবীন্দ্রনাথের রচনা সম্বন্ধে প্রিয়নাথ সেনের মন্তব্য তিনি বহুমানের সহিত গ্রহণ করেন ; স্বীয় রচনাকর্মে র্তাহাকে উদাসীন কল্পনা করিয়া রবীন্দ্রনাথ বারংবার তাহাকে অমুযোগ করেন— সৌভাগ্যের দিনে রবীন্দ্রনাথ তাহার সান্নিধ্যকামী, দুঃখের দিনে তাহার বাক্যে রবীন্দ্রনাথের পরম সাস্তুনা ।" H প্রিয়নাথ সেন কেবল যে ‘আনন্দের দ্বারা রবীন্দ্ররচনার ‘অভিষেক’ করিয়। রবীন্দ্রনাথকে উৎসাহিত করিয়াছেন তাহা নহে, নিজে রচনাকুণ্ঠ হইলেও পাঠকের কাছে রবীন্দ্রকাব্যের প্রচার করিয়াছেন, নানা অভিঘাত হইতে রবীন্দ্ররচনাকে রক্ষা করিতে উদযোগী হইয়াছেন। রবীন্দ্রপ্রসঙ্গে র্তাহার প্রথম রচনা মানসী কাব্যের আলোচনা, ১৩০০ পৌষ সংখ্যা ‘সাহিত্যে’ ইহা প্রকাশিত হয় । দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘চিত্রাঙ্গদা’কে ‘দুনীতিমূলক’ ও ‘অস্বাভাবিক বলিয়া আক্রমণ করেন (‘কাব্যে নীতি’, সাহিত্য, ১৩১৬ জ্যৈষ্ঠ ) তখন প্রিয়নাথ সেন দ্বিজেন্দ্রলালের অভিযোগের বিস্তারিত উত্তর দেন ( ‘চিত্রাঙ্গদা", সাহিত্য, ১৩১৬ কাতিক )। কয়েক বৎসর পরে যখন শ্রীরাধাকমল মুখোপাধ্যায়ের লোকশিক্ষক বা জননায়ক’ প্রবন্ধ (প্রবাসী, ১৩২১ জ্যৈষ্ঠ) উপলক্ষে বিতর্ক উপস্থিত হয় তখন প্রিয়নাথ সেন “কাব্য-কথা’ প্রবন্ধে ( মানসী, ভাদ্র ১৩২২ ) ‘কাব্যের উদ্দেশু।” -আলোচনায় রবীন্দ্রনাথের মতের সমর্থন করেন । প্রিয়নাথ সেনের এই-সকল প্রবন্ধ তাহার সুযোগ্য পুত্র শ্রীপ্রমোদনাথ সেন -কর্তৃক সংকলিত “প্রিয়-পুষ্পাঞ্জলি” ( ১৩৪০ ) গ্রন্থে সংগৃহীত হয় । २b*(t