পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খারাপ করে দিয়েচে । কিন্তু ইতিহাসে তারিখের ভুল এত আছে যে আমার ইতিহাসের তারিখেও ভুল থাকা খুবই সম্ভব। । আমাদের বিদ্যালয়ের ছুটি হয়ে গেছে। ছেলেরা সব চলে গেছে— যেখানে ক্লাস নিতুম সেই বটতল একেবারে নিঃশব্দ– কেবল শালিখ পার্থীগুলো বোধ হয় আমাকে ঠাট্টা করে’ মাঝে মাঝে আমার পঞ্চমবগের ছাত্রদের মতই গোলমাল করে আমার ক্লাসের নকল করবার চেষ্টা করে। ভেবেছিলুম এইখানেই আমার সমস্ত ছুটিটা নিস্তব্ধ হয়ে কাটিয়ে দেব। কিন্তু সে হয়ে উঠলনা। একবার মাদ্রাজের দিকে আমাকে যেতেই হবে। হয়ত কাল পশুর মধ্যেই চলে যাব।” শরীরের জন্যে একটু জায়গা বদল করারও দরকার আছে। তা ছাড়া আশ্রমে থাকলে আশ্রমে আসার সুখটা পাওয়া যায় না। আশ্রমে আসবার জন্যে মাঝে মাঝে আশ্রম থেকে যাওয়া দরকার। বেশি দেরী করব না— তোমরা দেওয়ালির সময় আসবে এমন আশা আছে— আমি তার আগেই ফিরব। কিন্তু এই কদিন হয়ত চিঠিপত্র পাবে না। নাইবা পেলে। চিঠি পাওয়া অভ্যাস হয়ে যাওয়াটা কিছু না। চিঠি না পেয়েও তোমার ভানুদাদার সঙ্গে অনায়াসে তোমার কথাবার্তা চলতে পারে। বাইরের জিনিস যারই উপর আমরা বেশি নির্ভর করতে যাই সেই আমাদের কিছু না কিছু দুঃখ এবং ফাকি দেয়ই। বাইরের জিনিস বড় বেশি নড়ে চড়ে, ভাঙে চোরে, হারায় ফুরোয়। সে আমাদের এড়াবার আগেই তাকে এড়িয়ে যাওয়াই সুবিধে। “বীণা বাজাও মম অস্তরে।” অস্তরে যখন বীণা বাজে তখন আর ভাবনা নেই— সে বীণা সাথের সার্থী— আর সে বীণা বাজাবার যিনি ওস্তাদ তাকে তেমন করে ধরে রাখতে পারলে আর কোনো ভাবনা থাকে না। সেই বীণা যাতে সব কোলাহল ঢেকে বাজতে থাকে আমি এইটেই সবচেয়ে কামনা করি— বীণাটিকে যখন বাইরের দিকে খুঁজে বেড়াই তখনি মুস্কিল। তখন তার ছেড়ে, তখন তুম্বি ভাঙে তখন সুর ঠিক থাকে না। আমার ওস্তাদজি আমার হৃদয় సె\లి