পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হল। এক এক পয়সা দিয়ে ছেলে মেয়েরা সব নাগর দোলায় দুলল, চাদোয়ার নীচে নীলকণ্ঠ মুখুজ্জের কংসবধ যাত্রার পালা গান হচ্ছিল— সেইখানে একেবার ঠেলাঠেলি ভিড়। তার পরে ৯ই পৌষে আমাদের মেয়েরা আবার এক মেলা করেছিলেন— তাতে সিঙাড়া আলুর দমের দোকান বসিয়েছিলেন-— একটা একটা আলুর দম এক এক পয়সায় বিক্রি হল— হেমলতা বৌমা লক্ষ্মেী থেকে ৪১ টাকায় অনেক জোড়া জুতো আনিয়েছিলেন তার সাইজ এত ছোট হয়েছিল যে কেউ কিনতে চায় না— তিনি জোর করে যাকে পেলেন তার পকেটে গুজে দিলেন— সুকেশী বৌমা চিনে বাদামের পুতুল গড়েছিলেন, তার এক একটা দু আনা দামে বিক্রি হয়ে গেল। কমল কাদা দিয়ে একটা ঘর বানিয়েছিল— তার খড়ের চাল, চারি দিকে মাটির পাচিল, আঙিনায় শিব স্থাপন করা আছে— সেটা কেউ কিনতে চায় না, তাই কমল আমাকে সেটা জোর করে তিন টাকায় বিক্রি করেচে, ভেবে দেখ কি রকম ভয়ানক মজা! ছোট মেয়েরা এক টুকরো ন্যাকরা ছিড়ে তার চারদিকে পাড় সেলাই করে আমার কাছে এনে বল্লে “এটা রুমাল, এর দাম আট আনা, আপনাকে নিতেই হবে”— বলে সেটা আমার পকেটে পূরে দিলে— এমন ভয়ানক মজা! ওঁদের বাজারে এই রকম শ্রেণীর সব ভয়ানক ভয়ানক মজা হয়ে গেছে— তোমরা যে সব প্রাইজ পেয়েচ সে এর কাছে কোথায় লাগে ! তার পরে মজা, মেলা যখন ভেঙে গেল সমস্ত রাত ধরে চেচাতে চেচাতে বেসুরো গান গাইতে গাইতে দলে দলে লোক আমার শোবার ঘরের ঠিক সামনের রাস্তা দিয়েই যেতে লাগল, মজায় একটুও ঘুম হল না— নীচে যতগুলো কুকুর ছিল সবাই মিলে উদ্ধশ্বাসে চেচাতে লাগল, এমন মজা! তার পরে কলকাতা (থেকে] অনেক মেয়ে তাদের ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে এসেছিলেন, তাদের কারো কাশী কারো জ্বর— নিশ্চয়ই তোমাদের প্রাইজে এমন ধুমধাম গোলমাল কাশি সন্ধি অসুখবিসুখ আট আনায় রুমাল > > (?