পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫి ) ১৮ জ্ঞানুয়ারি ১৯২২ { শাস্তিনিকেতন] কল্যাণীয়াসু রাণু, আক্ত বুধবার— আজ ছুটির দিনে আমার বারান্দার সেই কোণটায় বসে তোমাকে লিখচি, মাঘের দুপুর বেলাকার রৌদ্রে আমার ঐ আমলকী বীথিকার মধ্যে দিনটা রমণীয় লাগচে । এই রকম দিনে কাজ করতে ইচ্ছে করে না— আমার সমস্ত মনটি ঐ ডালের উপরে বসা ফিঙে পাখীটির মত চুপ করে রোদ পোয়ায় । আজ উত্তরে হওয়া থেকে থেকে উতলা হয়ে উঠেচে-- শালবনের পাতায় পাতায় কাপুনি ধরেচে– একটা মস্ত কালো ভ্রমর মাঝেমাঝে অকারণে আমার মাথার কাছে এসে গুনগুনিয়ে আবার বেরিয়ে চলে যাচ্চে— একটা কাঠবিড়ালি এই বারান্দার কাঠের খুঁটি বেয়ে চালের কাছে উঠে কিসের ব্যর্থ সন্ধানে চঞ্চল চক্ষে এদিক ওদিক তাকিয়ে আবার তখনি পিঠের উপর ল্যাজ তুলে দুড় দুড় করে নেবে যাচ্চে,— এই শীতের মধ্যাহুে {য} যেন আজ কারো কিছু কাজ নেই। আমি সমস্ত, সপ্তাহ ধরে একটা নাটক লিখছিলুম— শেষ হয়ে গেছে— তাই আজ আমার ছুটি । এ নাটকটা “প্রায়শ্চিত্ত” নয়— এর নাম পথ। এতে কেবল প্রায়শ্চিত্ত নাটকের সেই ধনঞ্জয় বৈরাগী আছে, আর কেউ নেই– সে গল্পের কিছু এতে নেই– সুরমাকে এতে পাবেনা। তুমি পরীক্ষা নিয়ে বাস্ত আছ— আমার এই কুঁড়েমির চিঠিতে পাছে তোমার জিয়োমেট্রির ধান ভঙ্গ করে এই ভয় আছে। ৪ঠা মাঘ ১৩২৮ እ ግg