পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানাড়া।— যাক সে সব কথা পরে হবে— আপাতত চিঠি বন্ধ করে এখানকার বারান্দায় মেঘাবৃত রাত্রির স্তব্ধতার মধ্যে মনটাকে ডুবিয়ে দিয়ে একটু বিশ্রাম করতে যাই— যদি ক্লাস্তির জন্যে চোখ বুজে আসে তাহলে তাকে তাড়া দিয়ে দেশছাড়া করব না। [২৩ আশ্বিন ১৩৩০] ভানুদাদা > & ○ { ?১৩ অক্টোবর ১৯২৩] [কলকাতা] রাণু তোমার বাবজার সেবা আর তার কাজ নিয়ে তোমাকে খুব ব্যস্ত হয়ে থাকতে হয়— এখন তোমার কাছ থেকে নিয়মমত চিঠির জবাব আমি প্রত্যাশা করি নে অতএব কষ্ট করে লেখবার চেষ্টা কোরো না। আজ চিঠি না পেয়ে রোগীর সম্বন্ধে উৎকণ্ঠা বোধ করছিলুম, কিন্তু উৎকণ্ঠা নিরর্থক— কিছু ত করবার পথ নেই। এখানে আমার হাতেও রোগীর চিকিৎসা ভার পড়েচে। বিশ্বভারতীর একজন কৰ্ম্মচারী খুব কঠিন pleurisy রোগে সঙ্কট অবস্থায় পড়েচে– আমার ওষুধে তার উপকার হয়েচে বলে আমাকে সে ছাড়তে চায় না। অথচ জানি তাকে বাঁচানো প্রায় অসাধ্য। তাকে বিধান রায় প্রভৃতি বড় বড় ডাক্তার দেখচে– তারা হাসে— বলে রবিবাবুর এই আধ্যাক্সিক চিকিৎসা রোগীর ইহকালের পক্ষে বিশেষ কাজে লাগবে नाँ ! কাল সদ্ধের সময় সেই নন্দিনী নাটকটার একটা পাঠ দিয়েছিলুম।" ૨૨છે