পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাধা দিতে চেষ্টা করেচি— কিন্তু তাতে উল্টো ফল হয়— আমার বিনয় থেকে লোকের ভক্তি আরো বেড়ে যায়। মোটের উপর আমি ভেবে দেখেচি ভিড়ের জগৎ আমার জগৎ নয়। ভক্তি বল, খ্যাতি বল এতে আমাকে ঘূর্ণিঝড়ের মাঝখানকার পাখীর মত বড়ই ব্যাকুল করে তোলে। ছোট ছিলুম যখন তখন আমার আত্মীয়েরা আমাকে চাকরদের জিম্মে করে দিয়ে একটি অতি ছোট্ট কোণে নিৰ্ব্বাসিত করে দিয়েছিলেন। সেই কোণের আকাশটুকুকে আমি আমার নিজের মনের নানারঙের ভাবনা দিয়ে ভরে সেখান থেকে বেরিয়ে এলেই আমার মন উতলা হয়ে ওঠে। আজ সকালে অবকাশভরা কোণের কথা মনে পড়চে । তাই মন উতলা হয়েচে— আকাশের সমস্ত ফাকটা যেন ভৈরবী রাগিণীর করুণরসে একেবারে অশ্রুধুত হয়ে রয়েচে । তার উপর শরীর ক্লাস্ত আর ঘুম কেবলি থেকে থেকে চেতনার সমস্ত জানলা দরজার পদা টেনে টেনে দিচ্চে। একটা কেদারায় হেলান দিয়ে একটু ঘুমোবার চেষ্টা করিগে। ৩০শে মার্চ ১৯২৪ তোমার ভানুদাদা X 8 (? {৩১ মার্চ ১৯২৪ } [Swellenham] রাণু আজ সকালে swellenham বন্দরে জাহাজ পৌছল। এখানকার ভারতীয়গণ ধরে নিয়ে এলেন কুয়ালা লামপুর নামক সহরে। বন্দর থেকে ՀԳ (