পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার অবস্থা কল্পনাও করতে পারবে না। ইতি তোমার ভানুদাদা > 8సి ২১ [২২] এপ্রিল ১৯২৪ o [ৎিসনানসু] রাণু পথে পথে বক্তৃতা দিতে দিতে আসচি। আমি যেন দক্ষিণ পশ্চিমের হাওয়া— ভারতবর্ষ থেকে বসন্তের অভিবাদন ছড়িয়ে দিয়ে চলেচি। পশু গিয়েছিলুম ন্যানকিঙে। এই সহরের খবর নিশ্চয় তোমাদের ভূগোল বিবরণে পড়েচ। চীনের প্রাচীন রাজধানী। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতাশালায় আমার সভা ছিল। প্রকাণ্ড ঘর। উপরে দেয়াল ঘিরে একটা গ্যালারি। বিষম ভীড়। তারস্বরে আমি যেই বক্তৃতা আরম্ভ করেচি, দু চারটে কথা বলেচি মাত্র এমন সময় ধড়াম করে একটা শব্দ ; সভা কেঁপে উঠল, সমস্ত লোক চঞ্চল হয়ে বেরিয়ে পড়বার দরজার দিকে মুখ করেচে। আমি যেমঞ্চে দাড়িয়ে বক্তৃতা করচি ঠিক তারি মাথার উপরের গ্যালারি লোকের ভারে হঠাৎ বাঁধন ছাড়িয়ে চার পাঁচ ইঞ্চি নেবে পড়ল। ভেঙে পড়বার মত ভার। অতি অল্প একটুতে আটকে গেল। যদি ভাঙত তাহলে সেই মুহূৰ্ত্তে আমারও কপাল ভাঙত। আমার মাথার উপর পুষ্পবৃষ্টি না হয়ে নরনারী বৃষ্টি হত। এলমহস্টের মুখ বিকর্ণ কালিদাস ব্যক্ত হয়ে আমাকে টেনে বাইরে আনবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত। আমি নড়লুম না। হাত তুলে সবাইকে শাস্ত হতে ইঙ্গিত করলুম। যদি আমি ভয়ে ব্যস্ত হয়ে পালাবার পথ দেখতুম তাহলে সেই তিন হাজার লোক পালাবার ঠেলাঠেলিতে সৰ্ব্বনাশ কাণ্ড ঘটাত। আমি জোর করে কালিদাসকে থামিয়ে দিয়ে বক্তৃতা করে চললুম। Sbr8