পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যে অসামান্যতা আছে। বুদ্ধিতে সকল বিষয়েই তাহার আশ্চৰ্য্য তীক্ষতা— কিন্তু তাহার চেয়ে বড় কথা তাহার মনের নিষ্কলুষ সরলতা। ঠিক এমনটি আমি আর কোথাও দেখি নাই। এ কথা আমি আপনাকে জোর করিয়া বলিতে পারি রাণুর চরিত্রে কলঙ্কের রেখা মাত্র পড়ে নাই— যদি তাহার কোনো দোষ থাকে ত সে কেবল সমাজ ব্যবহারের— তাহা পাপ নহে তাহা অজ্ঞতা। এমন পাত্রী সহজে পাওয়া যাইবেনা ইহা নিশ্চয় জানিবেন। আমাদের দেশে বয়ঃপ্রাপ্ত কুমারীদের বিবাহকালে গুপ্ত নিন্দাপ্রচার ইহার পূৰ্ব্বে অনেকবার দেখিয়াছি, সুতরাং এই ঘটনায় বিস্মিত হই নাই। তাহাদের মনের কুটিল গতি আজও বুঝিতে পারি না। যদি রাণুকে সম্পূর্ণ বিশ্বাসের সহিত আপনারা গ্রহণ করিতে না পারেন তবে তাহার ও তাহার পরিবারদের কি অবস্থা হইবে তাহা ভাবিয়া আমার চিত্ত ব্যাকুল হইতেছে। আমার শরীর অত্যন্ত অসুস্থ নতুবা নিশ্চয়ই আপনাদের সহিত দেখা করিয়া সকল কথার আলোচনা করিতাম। আমার নড়াচড়া বন্ধ। সার রাজেন্দ্রনাথ ও আপনি যদি শাস্তিনিকেতন দেখার উপলক্ষ্যে একবার এখানে আসিতে পারেন তবে সৰ্ব্বতোভাবে খুসি হইব। বেীমাকে আপনি ত ঘরের মেয়ের মতই জানেন— আশা করি তাহার আতিথ্যে আপনার কোনো কষ্ট হইবে না।” দুৰ্ব্বল শরীরে ভাল করিয়া লিখিতে পারিলাম না। ৩ মার্চ ১৯২৫ আপনাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ●brs