পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারে তাদের শিক্ষকদের কাছে। আমাদের দেশের শাসনতন্ত্রের এই বিধি। আমরা এখানে সেই বিধিরই চর্চা করে থাকি।” এর থেকে বুঝতে পারবে এদের শিক্ষা কেবল পুথি পড়ার শিক্ষা নয়। নিজের ব্যবহারকে চরিত্রকে একটা বৃহৎ লোকযাত্রার অনুগত করে’ এরা তৈরি করে তুলচে। সেই সম্বন্ধে এদের একটা পণ আছে এবং সেই পণরক্ষায় এদের গৌরব বোধ। আমার ছেলেমেয়ে এবং শিক্ষকদের আমি অনেকবার বলেচি, লোকহিত এবং স্বায়ত্তশাসনের যে দায়িত্ববোধ আমরা মধ্যে তারি একটি সম্পূর্ণরূপ দিতে চাই। এখানকার ব্যবস্থা ছাত্র ও শিক্ষকদের সমবেত স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থা হওয়া দরকার— সেই ব্যবস্থায় যখন এখানকার সমত্ত কৰ্ম্ম সুসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে তখন এইটুকুর মধ্যে আমাদের সমস্ত দেশের সমস্যার পূরণ হতে পারবে। ব্যক্তিগত ইচ্ছাকে সাধারণ হিতের অনুগত করে তোলবার চর্চা রাষ্ট্ৰীয় বক্তৃতামঞ্চে দাড়িয়ে হতে পারে না, তার জন্য ক্ষেত্র তৈরি করতে হয়— সেই ক্ষেত্র আমাদের আশ্রম। একটা ছোটো দৃষ্টান্ত তোমাকে দিই। আহারের রুচি এবং অভ্যাস সম্বন্ধে বাংলা দেশে যেমন কদাচার এমন কোথাও নেই। পাকশালা এবং পাকযন্ত্রকে অত্যন্ত অনাবশ্যক আমরা ভারগ্রন্ড করে তুলেচি। এ সম্বন্ধে সংস্কার করা বড়ো কঠিন। স্বজাতির চিরন্তন হিতের প্রতি লক্ষ্য করে আমাদের ছাত্ররা ও শিক্ষকেরা পথ্য সম্বন্ধে নিজের রুচিকে যথোচিত ভাবে নিয়ন্ত্রিত করবার পণ গ্রহণ করতে যদি পারত তাহলে আমি যাকে শিক্ষা বলি সেই শিক্ষা সার্থক হোত। তিন নয়ে সাতাশ হয় এইটে মুখস্থ করাকে আমরা শিক্ষা বলে গণ্য করে থাকি, সে সম্বন্ধে ছেলেরা কোনোমতেই ভুল না করে তার প্রতি লক্ষ্য না করাকে গুরুতর অপরাধ বলে জানি কিন্তু যে-জিনিষটাকে উদরন্থ করি সে সম্বন্ধে শিক্ষাকে তার চেয়ে কম দাম দেওয়াই মূখতা। আমাদের প্রতিদিনের খাওয়া সম্বন্ধে আমাদের সমন্ড SSS