পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や> [অগাস্ট ১৯১৮] এটা আগে লিখেছি। প্রিয় রবিদাদা, আমি আপনাকে দুপুরে খাওয়ার পর চিঠি লিখছি। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্চে। তাই অন্য দিনের চাইতে বেশী ঠাণ্ডা। কেবল এখন রৌদ্রের ভেতরেই একটু একটু করে বৃষ্টি পড়ছে। আমাদের সামনের পাহাড় মেঘে ঢেকে গেছে। আপনি যদি আসেন তো বেশ হয়। আমি কাল যখন আপনাকে চিঠি লিখছি এমন সময় আপনার চিঠি পেলাম। আমি সে চিঠি শেষ করে তাতে ফুল দিয়ে তাকে বন্ধ করে আপনাকে পাঠালাম। তারপর আপনার সে চিঠি পড়লাম। আজও আমাদের বাড়ীর পেছুনদিকে একটা ঘাসে ঢাকা ঢালু রাস্তা দিয়ে ডাকপিয়ন এসে আমার হাথে চিঠি দিয়ে গেল তার থেকে আমি আমার চিঠি বেছে নিয়ে অন্য সব বাবজাকে দিলাম। যে চিঠি কাশী থেকে ঘুরে এসেছে সে ভারী আশ্চৰ্য্য এসেছে। তাতে বাজার নাম লেখা ছিলনা শুধু ঠিকানা ছিল তবুও চিঠি আমাকে দিয়ে গেল। আপনি আজকাল খুব লক্ষী হয়েছেন। অনেক চিঠি লেখেন। আগের মতন অত ভুলে যাননা। আমারও আপনাকে চিঠি লিখতে বেশ ভাল লাগে। আর আপনি প্রায়ই উপাসনার দিন চিঠি লেখেন। আপনি যে ‘বীণা বাজাও’ গান বলেছেন তা কি আপনি রোজ সন্ধ্যেবেলা গান? অনেকক্ষশ ধরে? আপনি চিঠি পাওয়ার পর আবার লিখেছেন আমি ইস্কুল পলিএছি। কিন্তু আমি পালায় নি। কখনো। যাকে হয় জিজ্ঞেস করবেন। আমি ছুটীও নিইনি। বাবজা জোর করে একটা চিঠি পাঠালেন। চিঠি দেবার সময় এত লজ্জা করছিল। দিয়েই পালিয়ে গিয়েছিলাম। আর আমি এখানে পড়ার 82●