পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাণ্ডী কাধে কোরে আসচে। বাবজাকে নাকি ডাতীয়ালাগুলো আধ রাস্তায় ডাণ্ডীশুদ্ধ ফেলে পালিয়েছে। দুটো কেবল পালায়নি। তার পর আরো এক ঘন্টা বোসে থাকার পর আবার কতকগুলো ডাওঁীয়ালা এল আর তারপর নিয়ে গেল। খুব দেরী হোয়ে গিয়েছিল। রাস্তাতেই অন্ধকার হোয়ে গিয়েছিল। তার উপুর আবার রাস্তা এমন বিচ্ছিরি। রাত্তির বেলা একজায়গায় রাস্তা নেই। একটা পাহাড়ী নদী পার হোয়ে গেলে তবে রাস্তা। ডাওঁীয়ালারা সেই নদীর ওপর দিয়েই গেল। ওদের হাটু পর্য্যস্ত পা ভিজে গেল আমাদেরও কাপড়ে ছিটে লেগেছিল। কিন্তু ভারী মজা লাগছিল। আপনার হলেও মজা লাগত। শেষে রাত নটার সময় ভীমতালে পোঁছুলাম। আপনি কি কখনো ওখানে গ্যাছেন? ওখানে একটা খুব সুন্দর হ্রদ আছে। আর সেই হ্রদের চারিদিকে একটা প্লেন রাস্তা গ্যাছে। আমরা পরদিন সকালে ওখানে একটু বেড়িয়েছিলাম। তার পরেতে আমাদের আর কোনো দেরী হয়নি। আমরা এখন কাশীতে। আর আমি তো বেশ ভাল আছি আর মাকে জিজ্ঞেস কোরবেন, আমি যতটা দুধ খেতে দেওয়া হয় সব খেয়ে ফেলি। কাশীতে বেশী গরম নেই কিন্তু এখানে আখুখ {য) হচ্চে। শাস্তির অসুখ কোরেছে। আপনি নিশ্চয় খুব ক্লাস্ত হয়েছেন। আপনার মন যদি ইঞ্জিনের মতন বেঁকে গিয়েছিল তো আমার মন কেন ধার কোরলেন না। আপনি এখন কেমন আছেন? আপনি কি আশ্রমে গেছেন? আমি বোধহয় বাবজার সঙ্গে দেওয়ালীর ছুটীতে আপনার কাছে যাব। তখন তো আপনার ছুটী থাকবে। না? দেখুন, আমরা এবারও আলমোরায় যাবার রাভার মতন একটা পাইন বনের ভেতর দিয়ে এসেছিলাম। তখন সন্ধ্যে হোয়ে গিয়েছিল। রাস্তার পাশ দিয়েই একটা নদী গেছে। এই নদীকে আমাদের তিনবার পার হোতে হয়েছিল। আর এ প্রায় সারা রাস্তাই আমাদের সঙ্গে বন্ধুর মত এসেছিল। রাত্তির বেলা যে নদী পার কোরে ছিলাম তাও সেই নদীই। 8ማ &