পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাম চুনার। সেই মেয়েমানুষটী আমাদের গাড়ীর নেমে গেলেন। এখানে তার মা থাকেন। দেখুন অন্ধকার হোয়ে এল। এখানে শুধু পাহাড়। এখন একটা ইষ্টিসান এল। এর নাম ডগমগপুর। কি মজার নাম। কিন্তু এখানে ভানুদাদা, এখন রাত্তির হোয়ে গেছে। এমন চাদের আলো হয়েছে। ইঞ্জিনের আগুনের টুকরোগুলোকে আমি ভেবেছিলাম জোনাকি পোকা। শেষে মা বল্লেন যে ওগুলো আগুনের টুকরো। এখন বিন্ধ্যাচল বোলে একটা ইস্টিসানে গাড়ী থেমেছে কিন্তু এখান থেকে পাহাড় তো দেখা যাচ্ছেনা। এখানে চারিদিকে গাছ আছে। এই ইষ্টিসানে অনেক লোক রয়েছে। এইবার এখন থেকে গাড়ী ছাড়চে। অনেক লোক বাকী রোয়ে গ্যাল। বেচারারা কি কোরবে যে। এইবার পাহাড় দ্যাখা যাচ্ছে। ওগুলো খুব নীচু। এখানে অনেক ছোট ছোট গাছ রয়েছে। এ পাহাড়গুলোও গাছে ভরা। ভানুদাদা, এখন আমার বড় ঘুম পেয়েছে। শুচ্ছি। আমাদের গাড়ীতে আর কেউ ওঠেনি। আপনি এখন কি কোরছেন। যদি শোন তাহলে আপনাকে খুব আদর কোরবো আর আপনি লক্ষ্মী ছেলে হবেন। আপনার বরং এর আগেই শোয়া উচিৎ। ঘুম ভেঙে গ্যাল। এক্ষুণি পুলের ওপর দিয়ে একটা নদী পার হোলাম। সেই নদীর জলে এমন চমৎকার চাদের ছায়া পড়েছিল। এক্ষুণি আমরা যমুনা নদী পার হলাম। এমন চমৎকার। অনেক নীেকো সেখানে বাধা ছিল। এখন গাড়ী এলাহাবাদ ইষ্টিসানে থেমেছে। আমাদের গাড়ীতে অনেক লোক এসেছে। তাদের মধ্যে বেশীর ভাগই হায়দ্রাবাদবাসী। তারা এসেই কেউ বন্ধেতে লাফ মেরে ঘুমুতে লাগল কেউ নিজের ছেলেদের গড়ে গড়ে শুইয়ে দিল। ওরা কাল যাবে। আরো কতকগুলো ক্রীশচীনও এসেছে। যা ভীড় হয়েছে।