পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষকে তার সত্য পরিচয় থেকে ভোলাই। আত্মা যে অমর, আত্মা যে অভয়, আত্মা যে সমস্ত সুখ দুঃখ ক্ষতি লাভের চেয়ে বড়, অসীমের মধ্যে যে আত্মার আনন্দনিকেতন এই কথাটি প্রকাশ করাই হচ্চে মানুষের সমস্ত জীবনের অর্থ— এই জন্যেই আমরা এত শক্তি নিয়ে এত বড় জগতে জন্মেছি— আমরা ছোটখাটো এটা ওটা সেটা নিয়ে রেগে ভেবে কেঁদে মরতে আসি নি। ইতি ৪ঠা আশ্বিন পূর্ণিমা ১৩২৫ তোমার রবিদাদা ૭. ગ ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ [শান্তিনিকেতন] রাণু, তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেচ, রবিদাদা না বলে আমাকে আর একটা কোন নামে সম্ভাষণ করতে পার ? মহাভারতের সময়ে মানুষের এক এক জনের দশ বিশটা করে নাম থাকৃত, যার যেটা পছন্দ বেছে নিতে পারত, কিম্বা যে ছন্দে যেটা মেলাবার সুবিধে লাগিয়ে দিলেই চলত। অর্জুনের কত নাম যে ছিল তা অর্জুনকে রোজ বোধ হয় নামতা মুখস্থ করার মত মুখস্থ করতে হত। আমার যে আকাশের মিতাটি আছেন তারও নামের অভাব নেই। যদি তার দুটো একটা নাম ধার করে নিতে চাও তাহলে বোধ হয় তার বিশেষ কিছু লোকসান হবে না। কিন্তু যখন নামকরণ করবে তখন আমার সম্মতি নিলে ভাল হয়। প্রথম যখন আমার নামকরণ হয় তখন কেউ আমার সম্মতি নেয় নি— কিন্তু দেখতে পাচ্চি নামটা মন্দ (عمرb