পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখ নবীন স্পর্শ নবীন আনন্দ ফিরে ফিরে মানুষের ঘরে অবতীর্ণ হচ্চে— তাই প্রাচীনদের অসাড়তার আবর্জনা দিনে দিনে বারে বারে ধুয়ে মুছে পৃথিবীর চিররহস্যময় নবীন রূপকে উজ্জ্বল করে রাখচে। অন্য মানুষদের সঙ্গে কবিদের তফাৎটা কি জান ? বিধাতার নিজের হাতের তৈরি শৈশব কবিদের মন থেকে কিছুতে ঘোচে না— কোনোদিন তাদের চোখ বুড়ো হয় না, মন বুড়ো হয় না, তাই চিরনবীন এই পৃথিবীর সঙ্গে তাদের চিরদিনের বন্ধুত্ব থেকে যায়— তাই চিরদিনই তারা ছোটদের সমবয়সী হয়ে থাকে। সংসারে বিষয়ের মধ্যে যারা বুড়ো হয়ে গেছে তারা চন্দ্রসূৰ্য্যগ্ৰহতারার চেয়ে বয়সে বড় হয়ে ওঠে— তারা হিমালয়ের চেয়ে বড় বয়সের— মতই তারা সবুজ থাকে ছেলেমানুষীর ঝরনাধারা কোনো দিনই তাদের শুকোয় না। লোকালয়ে বিশ্বজগতের নবীনতার বাৰ্ত্তা এবং সঙ্গীত সকল বিষয়েই আদরকারী। নৃত্য করে তালে তালে প্রবীণ বটের ডালে ডালে নবীন পাতা ঘন-শ্যামল বর্ণা। পুরাণো সেই শিবের প্রেমে নূতন হয়ে এল নেমে দক্ষসুতা ধরি উমার অঙ্গ, এমনি করে সারাবেলা চলচে লুকাচুরি খেলা নূতন-পুরাতনের চির-রঙ্গ। ইতি ১৪ই আশ্বিন ১৩২৫ তোমার রবিদাদা brbr