পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র-১৫ ১ বাংলা গদ্য-সাহিত্যের ইতিহাস যদিও খুব বেশি পুরোনো নয় তথাপি যে সকল অতীতের গদ্য-গ্রন্থ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভিত্তি নির্মাণে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। এই অল্পকালের মধ্যেই তাদের অধিকাংশের অস্তিত্ব লুপ্তপ্রায়। যেমন : ১৭৪৩ সনে প্রকাশিত রোমান অক্ষরে মুদ্রিত প্রথম বাংলা গদ্য-গ্রন্থ—‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থ-ভেদ’ মানু এল-দা-আসসুম্পসাম। ১৮০১ খৃষ্টাব্দে প্রথম গদ্য-গ্রন্থ, বাংলা হরফে মুদ্রিত, রাম রাম বসু-রচিত ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র। ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত বহু পরিশ্রম করে এই সমস্ত দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ সংগ্রহ করেন ও তাদের যথাযথ পাঠ মিলিয়ে, ভূমিকায় লেখকের জীবনী ও গ্রন্থপঞ্জীসহ গ্রন্থগুলি পুনঃপ্রকাশ করেন। এই প্রকাশিত গ্রন্থগুলি দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থমালা বলে অভিহিত হয়। ২৭ অক্টোবর ১৯৩৮ রবীন্দ্রনাথ দুপ্রাপ্য গ্রন্থমালা সম্বন্ধে তার অভিমত লিখে দিয়েছিলেন। “ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচনার উপাদান সংগ্ৰহ করিয়া অমর কীর্তি অর্জন করিয়াছেন।”—প্রবাসী অগ্রহায়ণ ১৩৪৫ পৃং ২৫০ । (দ্র, রবীন্দ্রজীবনী 8, P. S (సి) সজনীকান্ত দাসের সম্পাদনায় দুপ্রাপ্যগ্রন্থমালার ১২ ও ১৩ সংখ্যক গ্রন্থ দুটি প্রকাশিত হয়। দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থমালার ১২—‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ (১৩৪৬, শ্রাবণ) ও ১৩ ‘কথোপকথন’ (১৩৪৯, বৈশাখ)। ২ নাতির (কিশোরকান্তের) জবানীতে দিদিমা (হেমন্তবালা দেবী) সম্বোধনী কবিতার উত্তর দিলে রবীন্দ্রনাথের উত্তরটি সজনীকান্তের মারফত প্রেরিত হয়। কিন্তু উক্ত পত্র যথাসময়ে যথাস্থানে না আসায়, হেমন্তবালার নালিশে কবির এই উক্তি। ৩ রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছা ছিল ‘বাংলা ভাষা পরিচয় তিনি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করবেন। এবং গ্রন্থটি প্রকাশের পূর্বে সুনীতিকুমারকে দিয়ে তা “আগাগোড়া যাচাই” করে নেবেন। (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৩২৯) > © br