পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র-২৭ ১ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৩৯, মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর স্মৃতি-মন্দিরের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানের জন্যে রচিত ভাষণ। প্রসঙ্গত শনিবারের চিঠি’ ১৩৪৬ পৌষ সংখ্যায় পৃ. ৪৩৬-৪০ রবীন্দ্রনাথের পঠিত অভিভাষণটি প্রকাশিত হয়। অভিভাষণটির রচনাকাল—২৮/১ ১/৩৯ ২ বিদ্যাসাগর স্মৃতি-মন্দিরের দ্বারোদঘাটন উপলক্ষে শান্তিনিকেতন থেকে রেলপথে মেদিনীপুর যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে গাড়ি বদলের কথা । ৩ রচনাবলী সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠকে সজনীকান্ত প্রস্তাব করেছিলেন —যে-সকল গ্রন্থে প্রভূত পরিবর্তন ঘটেছিল, রচনাবলী মুদ্রণকালে তাদের পাঠান্তরগুলিও সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া প্রয়োজন। শান্তিনিকেতনে ২১ নবেম্বর ১৯৩৯ সাক্ষাৎকালে রবীন্দ্রনাথের কাছে সজনীকান্ত র্তার প্রস্তাবটি নিবেদন করেন। রবীন্দ্রনাথ এই বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত ২৩ নভেম্বর ১৯৩৯ পত্ৰযোগে তৎকালীন রচনাবলী সম্পাদকমণ্ডলীর অধিনায়ক পুলিনবিহারী সেনকে জানান। পত্রটি এখানে উদ্ধৃত হল :– “কল্যাণীয়েযু, সজনীকান্তের সঙ্গে আলোচনা করে স্থির করেছি যে রাজা ও রাণী ও বিসর্জনের পাঠান্তরগুলি দ্বিতীয় খণ্ডেরই পরিশিষ্ট ভাগে প্রকাশ করা কর্তব্য— নইলে তার উপযোগিতা ব্যর্থ হবে। ইতি ২৩/১১/৩৯ রবীন্দ্রনাথ” (দ্র ‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৫৩৮) বিশ্বভারতী-কর্তৃপক্ষ রবীন্দ্রনাথের এই মত অনুসরণ করতে সক্ষম হননি। তাদের প্রধান অন্তরায় ছিল রচনাবলী প্রকাশে বিলম্বের সম্ভাবনা। সজনীকান্ত এই বিষয়ে সকলরকম সমস্যার কথা অবহিত করে পত্ৰযোগে রবীন্দ্রনাথকে জানিয়েছিলেন। (দ্র, সজনীকান্তের পত্র-১৩) ৪ লোকেন্দ্রনাথ পালিত (১৮৬৫- ১৯১৫)। ব্যারিস্টার তারকনাথ পালিতের পুত্র। ۹ را نج