পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবসাদ, যে ভীরুতা, ঔদাসীন, জড়ত্ব আমাদের ধূলিসাৎ করে রেখেছে তার ভার কি সামান্য ।” এ-বিষয়ে আরো তথ্যের জন্য দ্রষ্টব্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার -প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলী ১৫ক, ফাল্গুন ১৪০৬, পৃ. ১০১২-১৩ । ২ চিরপ্রভা সেন, শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্রী, তৎকালীন মেদিনীপুর জেলা অধিকর্তা বিনয়রঞ্জন সেনের সহধর্মিণী। সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, মেদিনীপুরে সম্পূর্ণ কবির ইচ্ছাধীনে, স্বতন্ত্র একটি বাড়িতে তাকে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে সৃষ্ঠভাবে সকল ব্যবস্থাদির তদারকি করতে তার একান্ত সচিব সুধাকান্ত রায়চৌধুরী অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পূর্বেই মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন। তিনিই রবীন্দ্রনাথকে সংবাদ দিলেন যে তৎকালীন জেলা-অধিকর্তার বাড়িতে তার স্ত্রীর (চিরপ্রভা সেন) তত্ত্বাবধানে কবির থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এই সংবাদে অতিমাত্রায় বিব্রত হয়ে চিরপ্রভা সেনকে ৪ ডিসেম্বর ১৯৩৯, চিঠিতে লিখলেন— “কল্যাণীয়াসু চির, তোমার চিঠিখানি পেয়ে খুশি হলুম। কিছুদিন থেকেই মেদিনীপুরে যাবার আলোচনা চলছে। তোমাদের দৃত সজনীকান্তের সঙ্গে এই কথা স্থির করেছি যে আমাকে একলা কোনো বাড়িতে যেন রেখে দেওয়া হয় —আমার অভ্যেস সম্পূর্ণ নিরালায় থাকা— এখানেও আমি একখানা বাড়িতে একলা থাকি। সজনী তাই বলেছিলেন— আমাকে স্বতন্ত্র বাড়িতে স্থান দেবেন, তাতে আমার অনেকটা ক্লান্তি দূর হবে। ইতি তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 8/>こ/○s" (দ্র, ‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৫৩৯-৪০) এক্ষেত্রে চিরপ্রভা সেনকে চিঠি দিয়ে রবীন্দ্রনাথ নিরস্ত হলেন না। সেইসঙ্গে সজনীকান্তকেও ৬/১২/৩৯ তারিখে এই চিঠিটি লিখেছিলেন। ৩ । ১৭৯৮ শকের মাঘ মাসের (৯ম কল্প, ২ ভাগ, ১৮৭৭ খ্রীস্টাব্দ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’র ১৮২-৮৩ পৃষ্ঠায় একটি > ° >