পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপেক্ষাকৃত শীতল পরিবেশে পাহাড়ে কবির মন যথেষ্ট নরম হয়েছিল বলেই সজনীকান্তের অনুমান। সেই সময়ে প্রসন্নচিত্তে রবীন্দ্রনাথ । পূর্বেকার শর্তকে উপেক্ষা করে সজনীকান্তকে পত্ৰযোগে একটি ছড়া উপহার দিয়েছিলেন। ছড়াটির প্রথম ছত্ৰ— “সুবলদাদা আনল টেনে আদম দীঘির পাড়ে”। অর্ধেক শর্ত অপূর্ণ থাকায় কবির এই উপহারে অতিমাত্রায় লজ্জা ও কুষ্ঠা বোধ করেন সজনীকান্ত এবং রথীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় কবিতাটি অপ্রকাশিত থাকে। রবীন্দ্রনাথের তিরোধানের পর ১৩৪৮ সালের ভাদ্র-সংখ্যার “শনিবারের চিঠি’তে প্রথম কবিতা হিসেবে কবির হাতের লেখার প্রতিলিপিতে ছড়াটি প্রকাশিত হয়। “শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত কবিতাটি ছিল লেখাটির আদিরূপে। ‘ছড়া’ গ্রন্থে প্রকাশিত কবিতার সঙ্গে প্রভেদ এখানে বেশ কিছু। সেগুলি এখানে দেওয়া হল—“হাচির পরে সারি সারি’ থেকে পাখার মতো নড়ে’ পর্যন্ত চারটি ছত্র সেখানে ছিল না। এ ছাড়াও ছিল না ‘টেবিলেতে তুফান ওঠে থেকে ‘সমুখটা যায় পিছে পর্যন্ত দশটি ছত্র। কিছু ছোটো খাটো প্রভেদ লক্ষণীয়—‘বাঁদরওয়ালা বাঁদরটাকে’ ছিল—“মনিব মিঞা বাদরটাকে ; ‘রামছাগলের ভারী গলায়’, ছিল ‘রামছাগলের মোটা গলায় ; ‘অল্প কিছু লাগল ধোঁকা’– ‘অল্প কিছু লাগল ধাধা ; বললে, পড়াশুনোয় কেবল’ —‘বললে, ফিজিক্স পড়ে কেবল ; ‘সিন্ধুপারে মৃত্যুনাটে ছিল ‘সিন্ধুপারে মৃত্যুদূতের’। এ ছাড়া শেষ দুটি ছত্রের পরিবতন অনেকটাই। পাণ্ডুলিপিতে এ দুই ছত্র ছিল : க் ছেলেরা সব হাততালি দেয় বাজে রে ডুগডুগি গভীর জলে কাৎলা খেলায়, জল ওঠে বুগৰুগি।” (দ্র, রবীন্দ্র-রচনাবলী ষোড়শ খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রকাশিত, ১ ৪০৮, ২৫ বৈশাখ, পৃ. ৪৭০) ২ ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়—১৮৯৪-১৯৬১। বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক। সংগীত বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পত্রালাপ ‘সুর ও > Ꮔ Ꮌ