পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\OS ৫ জানুয়ারি ১৯৪০ [ শান্তিনিকেতন ] [ কল্যাণীয়েষ্ণু ] যখন মন্ত্রী অভিষেক’ প্রবন্ধটি লিখেছিলুম তার পরে এখন কালের প্রকৃতি বদলে গেছে, তাই এ লেখাটি এখনকার মনের মাপে মিলবে না। দুই কালের মধ্যে প্রধান পার্থক্য এই যে তখন রাজদ্বারে আমাদের ভিক্ষার দাবি ছিল অত্যন্ত সংকুচিত। আমরা ছিলুম দাড়ের কাকাতুয়া, পাখা ঝাপটিয়ে চেচাতুম পায়ের শিকল আরো ইঞ্চিকয়েক লম্বা করে দেবার জন্যে। আজ বলছি দাড়ও নয় শিকলও নয় পাখা মেলব অবাধ স্বরাজ্যে। তখন সেই ইঞ্চি দুয়েকের মাপের দাবি নিয়েও রাজপুরুষের মাথা গরম হয়ে উঠত। আমি সেই চোখরাঙানীর জবাব দিয়েছিলুম গরম ভাষায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এ-ছিল আমার ওকালতি সেকালের পরিমিত ভিক্ষার প্রার্থীদের হয়ে। “আবেদন আর নিবেদনের থালাকে” তখনো আমি অশুচি বলে মেনেছি, এবং তৎকালীন কংগ্রেসের বিনম্র দীনতা আমার হাতে ভৎসনা পেয়েচে। এই কথা প্রমাণের জন্য তখনকার সাংবাদিক দলিল থেকে দিনক্ষণ তারিখের উদ্ধারের ভার রইল তাদের পরে যাঁরা কাটা ফসলের পুরোনো ক্ষেতে উদ্ধৃত্ত সংগ্রহে সুদক্ষ। Ć /> /8 o রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৩৯