পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বহুকাল থেকে আমি ছড়িয়ে দিয়ে এসেচি, যা কোনো চিহ্ন না রেখে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে তারি কিছু কিছু অংশ কুড়িয়ে নিয়ে এসে সমস্ত পৃথিবীতে আমার আপন করতে পেরেচি— কিন্তু ওখানে এমন আসন তৈরি হল না, যাতে আমাকে কুলোয়। তাই আমাকে এত দুঃসহ পরিশ্রম করতে হচ্চে, এত প্রাণপণ দুঃখ করেও যথেষ্ট ফল পাচ্চিনে । কিন্তু ফল পাওয়ার মানেই মজুরি চুকিয়ে পাওয়া— তাতেই বোধ হয় কাজের দাম কমে যায়– এইজন্তেই বিনা প্রতিদানে নিজের কাজ দিয়ে প্রাণ দিয়ে মানুষকে ঋণী করে যাওয়াই ভালো —পাওনা চুকিয়ে নেওয়া একেবারেই ভালো নয়। বুঝে পড়ে নিতে অনেক সময় চাই— সেই সময় আমার জীবিতকালের পরে আসাই ভালো । ইতি ১৪ মার্চ ১৯২৯ শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসুমতীর একটা লেখা দেখতে পাই নি যেটাতে টাইটানিক ডোবার উল্লেখ আছে। সেটার সংশোধন আবশ্যক। ঐ পত্রগুলির তর্জমা পেলে কাজে লাগত। ^(t